একটি ভ্রান্তি

“অধিকাংশ মানুষই কথাকে ব্যক্তি দ্বারা পরিমাপ করে দেখে। যদি তারা ব্যক্তির ব্যাপারে এই বিশ্বাস পোষণ করে নেয় যে সে সম্মানিত কেউ, তখন তার কথা যদি বাতিলও হয়, কুরআন-সুন্নাহর খেলাফও হয়, তবুও তা কবুল করে নেয়।”.~ শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবন তাইমিয়াহ [রাহ.]..[ জামিউল মাসাইল: ৭/৪৬৫] সংকলন: উস্তাদ মানযুরুল করিম

জাহিলী স্বভাব

❝(জাহিলী স্বভাব হল) যখন তারা দলীলের মাধ্যমে পরাভূত হয় তখন শাসকদের কাছে গিয়ে অভিযোগ পেশ করে। যেমনটা (তাদের বক্তব্য আল্লাহ উল্লেখ করেছেন) তারা বলেছিল (মূসা আ. এর ক্ষেত্রে).أَتَذَرُ مُوسَىٰ وَقَوۡمَهُۥ لِیُفۡسِدُوا۟ فِی ٱلۡأَرۡضِ.‘আপনি কি মূসা ও তার জাতিকে এভাবেই ছেড়ে দেবেন, যেন সে জমিনে বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে?'[১]❞[২].~ শাইখ মুহাম্মাদ বিন আব্দিল ওয়াহহাব [রাহ.]..[ ১) […]

যেভাবে একজন কাফির হয়ে যায়….

“যদি কেউ মুখে ঈমানের স্বীকৃতি দেয় কিন্তু আমলীভাবে কুফরি করে তাহলে সে-ও কাফির হবে। যেমন কেউ কালিমায়ে তাওহিদও পড়ে আবার মূর্তি পূজাও করে (সে কাফির হবে)”.~ মুফতী খালিদ সাইফুল্লাহ রাহমানী [হাফি.]..[আসান ইলমে কালাম, পৃ: ১১১; আল মা’আহাদুল আলী আল ইসলামী, হায়দারাবাদ, ভারত, ২০২০ ঈ.] সংকলনঃ উস্তাদ মানযুরুল কারিম

গীবত হতে দেখলে করণীয়

“মালিক অর্থাৎ আল্লাহকে যে পেতে চায়, তার সামনে কেউ কারও গীবত করলে বা অহেতুক কথাবার্তায় লিপ্ত হলে (তার প্রথম কর্তব্য তাতে বাধা দেওয়া) আর তাতে বাধা দেওয়ার ক্ষমতা না থাকলে সেখান থেকে উঠে যাওয়াই (দ্বিতীয়) কর্তব্য। এতে সেই গীবতকারীর মনে কষ্ট লাগলে সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করবে না। কেননা অন্যের মন রক্ষার চেয়ে নিজের দ্বীনরক্ষা বেশি জরুরী।.স্বাভাবিকভাবে […]

কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে জাহান্নামী বলে সাক্ষ্য দেওয়া

“কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে জাহান্নামী বলে সাক্ষ্য দেয়া জায়েয নয়, তবে যাদের ব্যাপারে নস (আয়াত/হাদিস) রয়েছে তাদের কথা ব্যতীক্রম। যেমন আবু লাহাবের ব্যাপারে নস রয়েছে-سَیَصۡلٰی نَارًا ذَاتَ لَهَبٍ‘অচিরেই সে দগ্ধ হবে লেলিহান আগুনে'[১]একইভাবে হত্যা করার পর আবু জাহেল ও তার সঙ্গীদের তিরস্কার করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনهَلْ وَجَدْتُمْ مَا وَعَدَ رَبُّكُمْ حَقًّا؟ ‌فَإِنِّي ‌وَجَدْتُ […]

অপারেশন মাইন্ডফ্রেম

হামজা জর্জিস “অপারেশন মাইন্ড ফ্রেম” বলতে আমরা কি বুঝি?  “অপারেশন মাইন্ড ফ্রেম” হল ইসলামের উপর মতাদর্শিক আক্রমণ। আর এটা নিঃসন্দেহে ঘটছে। সমাজবিজ্ঞানী  ও শিক্ষাবিদ তারিক মওদুদ তার বইয়ে ধর্ম এবং ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে একটি ভালো পয়েন্ট তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন যে, “একটা মুসলিম বিদ্বেষী হাওয়া সারা ইউরোপজুড়ে বইছে।” আর এই বিদ্বেষ যে শুধু ব্যাক্তি পর্যায়ে, এমনটা […]

জাহিলী যুগের লোকদের পথ

❝যে আল্লাহর শরীআহকে পরিবর্তন করতে কৌশলের আশ্রয় নেয়, আল্লাহর ওলীদের ক্ষতিসাধন করতে কৌশলের আশ্রয় নেয়, সে আসলে জাহিলী যুগের লোকদের পথে রয়েছে৷ যে দুনিয়ার কোনো স্বার্থ হাসিলের জন্য আহলে সুন্নাহ ও আহলে তাওহিদকে ধোঁকা দেয় সেও জাহিলী যুগের লোকদের পথে রয়েছে❞.~ শাইখ সালিহ আল ফাউযান [হাফি.]..[ শারহু মাসাইলিল জাহিলিয়্যাহ,পৃ: ১৭৯, দারুল আসিমাহ] সংকলনঃ উস্তাদ মানযুরুল […]

শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ. ও আহলুস সুন্নাহের আলেমদের অবস্থান

আব্দুল্লাহ বিন বশির হাফি. ইসলামের সৌন্দর্যটা কী জানেন?  ইবনে তাইমিয়া রহ. বিভিন্ন বাতিল ফিরকার খণ্ডন করতে গিয়ে কখনো আহলুস সুন্নাহের স্বীকৃত কিছু বিষয়কেও খুব শক্ত ভাষায় খণ্ডন করে ফেলেন। বিশেষত আকিদার কিছু মাসআলায়। যার জের ধরে ইবনে তাইমিয়ার একদল শাগরেদ ও ভক্তকূল হামলে পড়ে আকিদার মাসআলায় ‘আশয়ারী ও মাতুরিদি’ আলেমদের উপর। বাস, বিপরীত পক্ষের কিছু […]

যাদেরকে অনুসরণ করা যাবে না

❝দুই ব্যক্তির অনুসরণ করা থেকে বিরত থাকবেন-এক. এমন আলিমের অনুসরণ থেকে বিরত থাকবেন, যে তর্কে পারদর্শী অথচ নেতৃত্বলোভী। অথবা যে আলিম বিচারকের পদ লাভ করার পর সে পদ রক্ষার জন্য মরিয়া হয়ে থাকে। অথবা যে আলিম চাকচিক্যময় কথার মাধ্যমে উপদেশ দিয়ে তার নিজের জগতকে সংকীর্ণ করে ফেলে।.দুই. এমন দুনিয়াবিমুখ ব্যক্তির অনুসরণ থেকে বিরত থাকবেন, যে […]

মর্যাদাবান মুত্তাকীদের বৈশিষ্ট্য

“মর্যাদাবান মুত্তাকীদের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে:১) রাতের তাহাজ্জুদ,২) সাহরির সময়ে ইস্তিগফার,৩) আর যাঞ্ছাকারী ও বঞ্চিত তথা ফকিরদের সাদকাহ করা”.~ শাইখ আব্দুল আযীয বিন বায [রাহ.]..[ মাজমুউ ফাতাওয়া ওয়া মাকালাতু মুতানাওউইয়াহ: ৭/১৭০; রিয়াসাতু ইদারাতিল বুহুসিল ইলমিয়্যাহ, ১৪৩১ হি.] সংকলনঃ উস্তাদ মানযুরুল কারিম হাফি.

শরীরের প্রত্যেক জোড়ার সদকাহ!

আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ আবূ যার (রাঃ) নবী করীম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, “তোমাদের প্রত্যেকেই এমন অবস্থায় প্রভাব করে যে, তাকে তার প্রত্যেক জোড়াগুলোর পরিবর্তে সাদকাহ দেয়া লাগে। কাজেই প্রত্যেক বার ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ বলা সাদকাহ হিসেবে বিবেচিত হয়, প্রত্যেক বার ‘আল্লাহু আকবর’ বলা সাদকা হিসেবে গণ্য হয় এবং সৎ […]

আর নয় অবহেলা

উম্মে হাবীবা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেন যে, “কোন মুসলিম যখন আল্লাহ্‌র জন্য প্রতিদিন ফরয নামাযগুলো ছাড়াও আরো বার রাকআ’ত সুন্নত নামায পড়ে, আল্লাহ্ তার জন্য জান্নাতের একটি ঘর তৈরী করেন।” (মুসলিম ১৬৯৬) *সুন্নত নামায হলো বার রাকআ’ত যোহরের পূর্বে চার রাকআ’ত ও পরে দু’রাকআ’ত, মাগরিবের পরে দু’রাকআ’ত, ঈশার […]

গুনাহ মাফের উপায় (১)

নবী করীম (সাল্লাল্লাহু ‘আলায়হি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “যে ব্যক্তি আমার ন্যায় এরূপ অযু করে একাগ্র চিত্তে দু’রাকআত নামায পড়বে, তার পূর্বের সকল গোনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।’’ (বুখারী ১৫৯, মুসলিম ৫৩৯)

সালামের আদব

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন : বয়োকনিষ্ঠ বয়োজ্যেষ্ঠকে, পদচারী উপবিষ্টকে এবং অল্প সংখ্যক অধিক সংখ্যককে সালাম দিবে। মুসলিমের অন্য বর্ণনায় আছে, আরোহী পদব্রজে যাওয়া ব্যক্তিকে সালাম দিবে । বুখারী এবং মুসলিমের বর্ণনায় সম্পূর্ণ হাদীসটি হচ্ছে, পদব্রজে চলাচলকারী ব্যক্তি উপবিষ্ট ব্যক্তিকে এবং কমসংখ্যক লোক অধিকসংখ্যক লোকদের সালাম দেবে। […]