আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর প্রতি ঈমানের (বিশ্বাসের) মৌলিক নীতিমালা

আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর প্রতি ঈমানের (বিশ্বাসের) মৌলিক নীতিমালাঃ আল্লাহর প্রতি ঈমানের অন্তর্ভূক্ত হচ্ছে ; তিনি স্বীয় কিতাবে তাঁর যে সমস্ত গুণাবলী বর্ণনা করেছেন এবং তাঁর রাসুল মুহাম্মদ তাঁর যে সব গুণাবলী বর্ণনা করেছেন তা কোন প্রকার বিকৃতি, অস্বীকৃতি ধরণ—গঠন বা সাদৃশ্য সাব্যস্ত না করে ঈমান (বিশ্বাস) স্থাপন করা। বরং আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত, বিশ্বাস […]
আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা’আতের মৌলিক আকীদা: আল্লাহর নাম ও সিফাত

আল্লাহর নাম ও সিফাতের ক্ষেত্রে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা’আতের তিনটি মূলনীতি রয়েছে। যথা- প্রথম মূলনীতি : সে সকল বিষয় আল্লাহ তা’আলার জন্য সাব্যস্ত করা যা কিছু স্বয়ং আল্লাহ তা’আলা নিজের জন্য সাব্যস্ত করেছেন এবং যা কিছু আল্লাহ তা‘আলার জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাব্যস্ত করেছেন। দ্বিতীয় মূলনীতি : আল্লাহ তা’আলা সম্পর্কে সে সকল বিষয় অস্বীকার […]
স্বার্থপরতার সময়

❝আমার পরে তোমরা অচিরেই প্রচণ্ড স্বার্থপরতা দেখবে৷ কাজেই তোমরা সবর করবে যতক্ষণ না আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ﷺ সাথে হাউজের পারে সাক্ষাৎ হচ্ছে।❞.إنَّكُمْ سَتَرَوْنَ بَعْدِي أثَرَةً شَدِيدَةً، فاصْبِرُوا حَتّى تَلْقَوُا اللَّهَ ورَسُولَهُ ﷺ عَلى الحَوْضِ.~ রাসূলুল্লাহ ﷺ.হাদিসে ব্যবহৃত أثرة অর্থ স্বার্থপরতা,আত্মম্ভরিতা, আমিত্ব, দাম্ভিকতা ইত্যাদি।.এই হাদিসে আমাদের জন্য একটা দিক নির্দেশনা রয়েছে।..[ ইমাম বুখারী (রাহ.), আস […]
তাওবাহকারীদের গুণ

যারা গুনাহ করে তাওবাহ করে তাদের একটা গুণ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন:.وَلَمۡ یُصِرُّوا۟ عَلَىٰ مَا فَعَلُوا۟.❝আর তারা জেনেশুনে নিজের কৃতকর্মের ওপর জিদ ধরে থাকে না❞[১].অর্থাৎ তারা পাপ করে তার ওপর অটল থাকেনা। এতে এমন মনে হতে পারে যে, যে ব্যক্তি বারবার গুনাহ করে, অনুতপ্ত হয়ে তাওবাহ করে, আবারও গুনাহ করে সে তো তাহলে এই বৈশিষ্ট্য […]
অন্তরের চিকিৎসা

ইব্রাহীম আল খাওয়্যাস [রাহ.] বলেন, “অন্তরের চিকিৎসা বা আরোগ্য রয়েছে ৫টি বিষয়ে: ১) তাদাব্বুরের সাথে কুরআন পাঠ,২) পেট যথাসম্ভব খালি রাখা(অল্প খাওয়া/সিয়াম পালন),৩) কিয়ামুল লাইল করা,৪) শেষ রাতে আল্লাহর কাছে কাকুতি মিনতি করা ও৫) নেককারদের সাথে ওঠাবসা করা।”.. [ ইমাম আবু নুআঈম আল আসবাহানী (রাহ.), হিলইয়াতুল আউলিয়া: ১০/৩২৭, তাবাআতুস সাআদাহ, ১৯৭৪ ঈ.] সংকলন- উস্তাদ মানযুরুল […]
দুই প্রকার লোক জাহান্নামী হবে…..

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দু’ প্রকার লোক জাহান্নামী হবে। আমি তাদেরকে দেখিনি। এক প্রকার ঐ সব লোক যাদের কাছে গরুর লেজের ন্যায় ছড়ি থাকবে। তারা এর দ্বারা লোকেদের পিটাবে। দ্বিতীয় প্রকার ঐ শ্রেণীর মহিলা, যারা কাপড় পরিহিতা কিন্তু উলঙ্গ প্রায়, মানুষকে আকৃষ্টকারিণী ও স্বয়ং বিচ্যুত। যাদের […]
লজ্জা

সহিহ বুখারী ও মুসলিমের হাদিসে আছেالحياء شعبة من الإيمان“হায়া বা লজ্জা হচ্ছে ঈমানের শাখা”.ইসলামী পরিভাষায় “হায়া” আসলে কী জিনিস?শাইখ আবুল হাসান উবাইদুল্লাহ আল মুবারাকপুরী [রাহ.] এর সংজ্ঞায় বলছেন:.“শরঈভাবে হায়া হচ্ছে ঐ বৈশিষ্ট্যের নাম যা মানুষকে খারাপ/নিকৃষ্ট/মন্দ কাজ থেকে দূরে রাখে এবং কোনো হকদারের হক-কে কম দেয়া থেকে বাধা দেয়।”[১]..[১) মিরআতুল মাফাতিহ শরহু মিশকাতিল মাসাবিহ: ১/৪৭, […]
ঈমানের স্বাদ

“যে আল্লাহকে রব হিসেবে পেয়ে, ইসলামকে দ্বীন হিসেবে পেয়ে এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে রাসূল হিসেবে পেয়েছে সন্তুষ্ট হয়েছে, সে-ই ঈমানের স্বাদ পেয়েছে”[১].ذاق طعم الإيمان من رضي بالله رباً، وبالإسلام ديناً، وبمحمد رسولاً.~ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।.এর অর্থ হচ্ছে, যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলা ব্যতীত আর কোনো সত্ত্বাকে অন্বেষণ করে না, ইসলাম ব্যতীত অন্য […]
দ্বীন

“কেবল জ্ঞানবুদ্ধি বা আবেগ অনুসরণের নাম দ্বীন নয়। আল্লাহ তাঁর কিতাবে যে বিধান দিয়েছেন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর সুন্নাতে যে বিধান দিয়েছেন, তা অনুসরণ করার নাম হচ্ছে দ্বীন।”.~ শাইখ নাসিরুদ্দীন আলবানী [রাহ.]..[ মাউসুআতুল আলবানী ফিল আক্বীদাহ: ৫/৮৮৭, মারকাযুন নু’মান, সানআ, ইয়ামান, ১ম সংস্করণ, ২০১০ ঈ.] অনুবাদ: উস্তাদ মানযুরুল কারিম হাফি.
সর্বোত্তম আমল

“সর্বোত্তম আমলের মধ্যে রয়েছে:১) কোনো মু’মিনকে আনন্দিত করা,২) তাঁর ঋণকে পরিশোধ করে দেয়া,৩) তাঁর কোনো প্রয়োজনকে পূরণ করে দেয়া,৪) তাঁর কোনো দুঃখ-কষ্ট থাকলে তা দূর করা”.“من أفضل العمل إدخال السرور على المؤمن تقضي عنه دينًا، تقضي له حاجة، تنفس عنه كربة”.~ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম..[ ১) ইমাম বাইহাক্বী (রাহ.), শুআবুল ঈমান, হা: ৭৩৭৪, ড. […]
যুলম

যুলম পুরোটাই হারাম ও নিন্দনীয়। এর মধ্যে সবচাইতে উঁচু পর্যায়ের যুলম হল শিরক।
সুপারিশ

আবূ উমামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমি রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে এ কথা বলতে শুনেছি যে, “তোমরা কুরআন মাজীদ পাঠ কর । কেননা, কিয়ামতের দিন কুরআন, তার পাঠকের জন্য সুপারিশকারী হিসাবে আগমন করবে ।” (মুসলিম ৮০৪, আহমাদ ২১৬৪২, ২১৬৫৩, ২১৬৮১, ২১৭১০)
নফল আমল

‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শা‘বান মাসের চেয়ে বেশি (নফল) সওম কোন মাসে পালন করতেন না। তিনি (প্রায়) পুরা শা‘বান মাসই সওম রাখতেন এবং তিনি বলতেনঃ তোমাদের মধ্যে যতটুকু সামর্থ্য আছে ততটুকু (নফল) আমল কর, কারণ তোমরা (আমল করতে করতে) পরিশ্রান্ত হয়ে না পড়া পর্যন্ত আল্লাহ তা‘আলা (সওয়াব দান) […]
ক্বুরআন খতম

‘আবদুল্লাহ্ ইব্নু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেন, “এক মাসে কুরআন খতম কর।” আমি বললাম,“আমি এর চেয়ে অধিক করার শক্তি রাখি।” তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন,“তাহলে প্রতি সাত দিনে একবার খতম করো এবং এর চেয়ে কম সময়ের মধ্যে খতম করো না।” (বুখারী পর্ব ৬৬: /৩৪ হাঃ […]