আল্লাহু আকবার

রাসূলুল্লাহ  (صلى الله عليه وسلم) এর প্রতি সবচেয়ে প্রারম্ভিক আদেশসমূহের একটি হলঃ 

وَرَبَّكَ فَكَبِّرۡ

“এবং তোমার রবের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর।” (মুদ্দাসসিরঃ ৩)

অন্য আয়াতে,

وَكَبِّرۡهُ تَكۡبِيرًا

“স্বসম্ভ্রমে তাঁর মাহাত্ম্য ঘোষণা কর।” (ইসরাঃ ১১১) 

একজন মু’মিন আল্লাহু আকবার উচ্চারণ করেন এবং তার হৃদয় এর অর্থ পরিপূর্ণভাবে উপলব্ধি করতে পারে। 

আল কুরতুবি (رحمه الله تعالى) বলেন,

“আল্লাহু আকবার আরবিতে আল্লাহ (سبحانه وتعالى) এর শ্রেষ্ঠত্ব ও মাহাত্ম্য ঘোষণার ক্ষেত্রে সবচেয়ে অলঙ্কারপূর্ণ বাক্য।” 

আল্লাহু আকবার অর্থ আল্লাহ যেকোনোকিছু ও সবকিছুর চাইতে মহান।

আল্লাহু আকবার – তিনি সবচেয়ে মহান, সর্বশ্রেষ্ঠ। 

আল্লাহু আকবার – যেসকল বৈশিষ্ট্য তিনি নিজের ক্ষেত্রে আরোপ করেছেন সেগুলোর ক্ষেত্রে তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ। 

আল্লাহু আকবার – যেসকল বৈশিষ্ট্য তিনি নিজের কাজের ক্ষেত্রে আরোপ করেছেন সেগুলোর ক্ষেত্রে তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ। 

আল্লাহু আকবার – যেসকল বৈশিষ্ট্য তিনি নিজের ও নিজের কাজের ক্ষেত্রে আরোপ করেছেন সেগুলোর ক্ষেত্রে তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ। 

যখন আপনি আল্লাহু আকবার বলেন এবং এর অর্থ বুঝেন, আপনি আপনার সমগ্র জীবনে তাঁর হিকমাহ অনুধাবন করেন, কারণ আপনি বলেছেন তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ। 

আপনি কষ্টের সম্মুখীন হন কিন্তু এর পিছনের হিকমাহ বুঝতে পারেন না, কিন্তু আপনি বুঝেন, আল্লাহু আকবার, অর্থাৎ তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ। তিনি আপনাকে ওই পরিস্থিতে ফেলেছেন, আপনি জানেন, তাঁর হিকমাই শ্রেষ্ঠ হিকমাহ। শুধুমাত্র এই অনুধাবনই আপনার মনকে শিথিল করে ও শান্তি দেয়। 

আল্লাহু আকবার অর্থ এই বিশ্বাস রাখা যে আল্লাহ  (سبحانه وتعالى) তাঁর হিকমাহ, তাঁর বিজ্ঞতায় সর্বশ্রেষ্ঠ। এর অর্থ তিনি তাঁর ‘উলুউ তে, তাঁর মহিমান্বিতায়, তাঁর ইজ্জতে, তাঁর ক্ষমতা ও পরাক্রমে, তাঁর হায়াত – তাঁর জীবনে, তাঁর জ্ঞানে, তাঁর ইলমে, তাঁর কুদরতে – তাঁর সামর্থ্যে, তাঁর জালালে, মহিমায় এবং তাঁর কথায় সর্বশ্রেষ্ঠ। 

আল্লাহু আকবর হচ্ছে সেই বাক্য যা শত্রুদের পায়ের নিচের মাটিকে কম্পিত করেছে। 

যখন আমর ইবনুল আস (رضي الله عنه) মিশরে বাইজেন্টাইন (রোমান) সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে করতে ব্যবিলনের দুর্গে পৌঁছান – এই ঘটনা ছিল হিজরি ২০ সনে – তারা দুর্গের সামনে মাসের পর মাস ক্যাম্পিং করেছেন , তবুও সেটি জয় করতে পারেননি। তারপর একদিন তাঁরা শুনলেন আয যুবায়ের ইবনুল আওয়াম (رضي الله عنه), পঞ্চাশোর্ধ্ব একজন পুরুষ দুর্গের দেয়ালের উপর দাঁড়িয়ে আল্লাহু আকবর বলে ধ্বনি দিচ্ছেন। তিনি ৬৫ ফুট লম্বা একটি মই দুর্গের দেয়ালের সাথে দাঁড় করিয়ে সেটি বেয়ে উপরে উঠেছিলেন। এবং মুসলিমরাও তাঁর ডাকে আল্লাহু আকবর ধ্বনি দিয়ে সাড়া দেন। তাঁরা যখন আল্লাহু আকবর ধ্বনি দিচ্ছিলেন তখন শত্রুরা পালিয়ে গিয়েছিল এবং আয যুবায়ের তখন গিয়ে দুর্গের দরজা খুলে দেন যাতে মুসলিমরা প্রবেশ করতে পারেন। 

সহীহ মুসলিমে রাসূলুল্লাহ (صلى الله عليه وسلم) আমাদেরকে কিয়ামতের আগে শেষের দিকের একটি যুদ্ধের ব্যাপারে জানিয়েছেন। একটি নির্দিষ্ট হাদীসে তিনি বলেন, 

“তারা না কোনো তলোয়ার দিয়ে যুদ্ধ করবে আর না কোনো তীর। তারা لا إله إلا الله والله أكب বলবে এবং শহরের একাংশ তাদের হাতে পতিত হবে।” –  এখানে তিনি ইস্তাম্বুলের কথা বুঝিয়েছেন। “তারপর তারা দ্বিতীয় বার لا إله إلا الله والله أكب  বলবে এবং দ্বিতীয় অংশও তাদের হাতে পতিত হবে। এবং তারপর তারা لا إله إلا الله والله أكب বলবে এবং শহরের গেটগুলো তাদের জন্য খুলে যাবে এবং তারা ভিতরে প্রবেশ করবে। এবং যখন তারা গনীমত সংগ্রহ করতে থাকবে তখন তারা দাজ্জালের আগমনের খবর পাবে।” 

لا إله إلا الله والله أكب – লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।  

আল্লাহু আকবার দিয়ে কেবল সালাতের আরম্ভই নয়, বরং তারও পূর্বের, আযানেরও আরম্ভ, ইকামতেরও আরম্ভ। যখন আপনি কোনো কিছু নিয়ে ব্যস্ত এবং এটার উদ্দেশ্য আপনাকে বলা, যখন আপনি যেকোনো কিছু নিয়েই ব্যস্ত, এবং শুনেন “আল্লাহু আকবার”, আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ, আল্লাহ সবচাইতে শ্রেষ্ঠ, তখন সময় সবকিছু ফেলে দিয়ে যিনি সর্বশ্রেষ্ঠ তাঁর কাছে যাওয়ার। সমস্যা, মিটিং, ব্যবসা, সন্তান, বিবি; আল্লাহ তাদের সবার চেয়ে শ্রেষ্ঠ এবং সবকিছুর চেয়ে শ্রেষ্ঠ। সুতরাং যাকে সর্বশ্রেষ্ঠ বলছেন, তাঁর কাছে ছুটে যান। 

আল্লাহু আকবার দিয়েই সালাতের আরম্ভ। এবং আপনি যার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব যাতে জানেন ও অনুধাবন করেন, সেজন্য পুরো সালাত জুড়েও আপনি অনেকবার এটি বলেন, যাতে আপনি জানেন কার জন্য আপনি বসছেন, রুকু ও সিজদাহ দিচ্ছেন। যখন আপনি সালাতের প্রারম্ভে আল্লাহু আকবার বলেন এবং সত্যিকারেই সেটি অনুভব ও অনুধাবন করেন এবং উপলব্ধি করেন, যিনি সর্বশ্রেষ্ঠ তাঁকে ছাড়া সবকিছু আপনার মন থেকে বিলুপ্ত হয় ও পলায়ন করে। যদি কেউ সালাতের মধ্যে অন্যমনস্ক হয়ে যায়, তার জন্য একের পর এক, কিছুক্ষণ পরপরই রিমাইন্ডার আসতেই থাকে, একটি রিমাইন্ডার কেবল রুকু থেকে উঠার সময় ছাড়া, আল্লাহু আকবার – আপনি যার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন ও রুকু-সিজদাহ দিচ্ছেন তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব আপনাকে পুনরায় মনে করিয়ে দেওয়া ও অনুভূতিতে পুনর্জীবন দান করার জন্য। 

উমার ইবনে খাত্তাব (رضي الله عنه)  বলেন, 

قول العبد الله أكبر خير من الدنيا وما فيها 

“একজন বান্দার আল্লাহু আকবার বলা পৃথিবী ও এতে যা কিছু আছে সবকিছুর চাইতে উত্তম।”

আযান ও এর সাথে সম্পর্কিত পরবর্তী সালাত পর্যন্ত একজনকে কতবার আল্লাহু আকবার বলতে হয় সেটা যদি আপনি হিসাব করেন, সেটা দিনে ৪৫০ বারের চেয়েও বেশি। গণনা করুন আল্লাহু আকবার আযানে কতবার আছে, তারপর ইক্বামাতে কতবার আছে, তারপর ফরজ সালাতে কতবার আছে, তারপর ফরজ সালাতের সাথে সম্পর্কিত নফল সালাতে (সুন্নাত) কতবার আছে, তারপর সালাত শেষের তসবিহতে কতবার আছে – দিনে ৪৫০ বারের কাছাকাছি। 

ইবাদাতের শেষে; হজ্বের শেষে, রমযানের শেষে, সালাতের শেষে — আল্লাহু আকবার।

সহীহ বুখারীতে, ইবনে আব্বাস  (رضي الله عنهما) বলেন,

كنت أعرف قضاء صلاة النبي صلى الله عليه وسلم بالتكبير

“রাসূলুল্লাহ (صلى الله عليه وسلم) এর সালাতের সমাপ্তি আমি তাকবীর শোনার মাধ্যমেই বুঝতে পারতাম।”

রমযানের মত কিছু কঠিন ইবাদাতের শেষে, 

وَلِتُكۡمِلُواْ ٱلۡعِدَّةَ وَلِتُكَبِّرُواْ ٱللَّهَ عَلَىٰ مَا هَدَاكُم

“এবং (আল্লাহ চান) যেন তোমরা নির্ধারিত সংখ্যা পূরণ করে নিতে পার এবং তোমাদেরকে যে সুপথ দেখিয়েছেন তজ্জন্য তোমরা আল্লাহকে মহিমান্বিত কর এবং যেন তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।” (বাকারাহঃ১৮৫)

সালাত শেষে, হজ্ব শেষে, যেসব ইবাদাতে সম্পদ ও শক্তি খরচ হয় এবং কুরবানি – অহংকার ইবাদাতকারীর মনের মধ্যে ঢুকে যেতে পারে। 

ইবাদাত শেষে আল্লাহু আকবার এই অহংকারকে পিষে ফেলে এবং যিনি সর্বশ্রেষ্ঠ তাঁর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। 

ইবাদাত শেষে আল্লাহু আকবার আপনাকে মনে করিয়ে দেয় যেন আপনি এই ইবাদাতকে যিনি সর্বশ্রেষ্ঠ তাঁর প্রতি কোনো অনুগ্রহ না মনে করেন। বরং আপনার তাকবির আপনাকে মনে করিয়ে দেয় যে সর্বশ্রেষ্ঠ আল্লাহই আপনাকে ইবাদাত করার সুযোগ দিয়ে আপনার প্রতি অনুগ্রহ করেছেন। 

তাকবির দেওয়া সুন্নাত। 

যখন আপনি নতুন চাঁদ দেখতে পান – আল্লাহু আকবার। 

যখন আপনি কোনো সুসংবাদ পান, আল্লাহু আকবার। 

যখন আগুন লাগে, 

সালাতুল ইস্তিসকা (বৃষ্টির জন্য সালাত) 

দুই ঈদের সময়

কিছু আলিমের মতে (জিলহজ্জের) দশ দিনে, (যেমন আমরা এখন জিলহজ্জের যে দিনগুলোয় আছি) 

মায়মুন বলেনঃ “আমি মানুষদের জিলহজ্জের প্রথম দশ দিনে এত বেশি তাকবির দিতে দেখেছি যে আমি তাকে সমুদ্রের ঢেউয়ের শব্দের সাথে তুলনা করতাম।”

উট বা আপনি যেটায় চড়েন, চড়ার সময় 

উপরে উঠার সময়

কুরবানি দেওয়ার সময় 

জিকির হিসেবে

আল্লাহু আকবার আপনাকে প্রতিনিয়ত যিনি সর্বশ্রেষ্ঠ তাঁর কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য। এটি আপনাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য আপনি যেন কাফিরদের বৈশিষ্ট্যে না পড়ে যান এবং আল্লাহর অবমূল্যায়ন না করেন। 

فَٱلۡحُكۡمُ لِلَّهِ ٱلۡعَلِيِّ ٱلۡكَبِيرِ

“তারা আল্লাহর যথোচিত মর্যাদা উপলব্ধি করেনা। আল্লাহ নিশ্চয়ই ক্ষমতাবান, পরাক্রমশালী।” (হাজ্জঃ৭৪)

وَمَا قَدَرُواْ ٱللَّهَ حَقَّ قَدۡرِهِۦ وَٱلۡأَرۡضُ جَمِيعٗا قَبۡضَتُهُۥ يَوۡمَ ٱلۡقِيَٰمَةِ وَٱلسَّمَٰوَٰتُ مَطۡوِيَّٰتُۢ بِيَمِينِهِۦۚ سُبۡحَٰنَهُۥ وَتَعَٰلَىٰ عَمَّا يُشۡرِكُونَ

“তারা আল্লাহর যথোচিত সম্মান করেনা। কিয়ামাত দিবসে সমস্ত পৃথিবী থাকবে তাঁর হাতের মুষ্টিতে এবং আকাশমন্ডলী ভাঁজ করা থাকবে তাঁর ডান হাতে। পবিত্র ও মহান তিনি, তারা যাকে শরীক করে তিনি তার উর্ধ্বে।” (জুমারঃ৬৭)

আল্লাহু আকবার কেবল মুখে উচ্চারিত বাক্য না, বরং হৃদয়ের বিশ্বাস। আল্লাহু আকবার হচ্ছে তাঁর শরীয়াহ মেনে নেওয়া যাকে আপনি আকবার – সর্বশ্রেষ্ঠ – সবকিছুর চাইতে শ্রেষ্ঠ বলছেন – আল্লাহ। এবং আল্লাহর আইনকে খর্ব না করা, এবং সেগুলো প্রতিস্থাপন বা পরিবর্তন না করা বা কেউ এগুলোর কোনোটা করলে তার সাথে একমত না হওয়া। 

فَٱلۡحُكۡمُ لِلَّهِ ٱلۡعَلِيِّ ٱلۡكَبِيرِ

“বস্তুতঃ মহান আল্লাহরই সমস্ত কর্তৃত্ব।” (গাফিরঃ১২)

আল্লাহু আকবার আপনাকে দুআ ও আল্লাহর উপর তাওয়াককুল করতে শেখায়। আপনি আল্লাহু আকবার বলবেন কিন্তু তাঁর উপর ভরসা করবেন না, এমন হতে পারে না। আপনি এমন করতে পারেন না। সর্বশ্রেষ্ঠ, আল আকবার, কখনই আপনার মুখের উপর তাঁর দরজা বন্ধ করে দিবেন না, যেমনটা তাঁর চেয়ে ক্ষুদ্রতর ও তিনি ছাড়া বাকিরা করে, বরং তিনি চান আপনি যেন আপনার প্রয়োজন তাঁর কাছেই চান। তিনি জিজ্ঞেস করেনঃ কোনো দুআকারী কি আছে যেন আমি তাকে দিতে পারি? কোনো দুআকারী কি আছে যেন আমি তাকে উত্তর দিতে পারি? কোনো ক্ষমা প্রার্থনাকারী কি আছে যাতে আমি তাকে ক্ষমা করতে পারি?

আল্লাহু আকবার  অর্থ যা কিছু তুচ্ছ, গৌণ, সামান্য, নগণ্য ও অপ্রয়োজনীয় সব ত্যাগ করা এবং তাঁর কাছে যাওয়া, যার ব্যাপারে আপনি বলেন ও বিশ্বাস করেন যে তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ। 

আল্লাহু আকবার অর্থ তাঁর চেয়ে ক্ষুদ্রতর যারা তারা আপনার সাহায্য ত দূরের কথা, নিজেদেরই সাহায্য করতে পারে না। 

وَٱلَّذِينَ تَدْعُونَ مِن دُونِهِۦ لَا يَسْتَطِيعُونَ نَصْرَكُمْ وَلَآ أَنفُسَهُمْ يَنصُرُونَ

“আল্লাহ ছাড়া তোমরা যাদেরকে ডাক তারা তোমাদের সাহায্য করার কোন ক্ষমতা রাখেনা এবং নিজেদেরকেও সাহায্য করতে পারেনা।” (আ’রাফঃ ১৯৭) কারণ আপনি বলেছেন তিনি আকবার। তারা তোমাদের সাহায্য করার কোন ক্ষমতা রাখেনা এবং নিজেদেরকেও সাহায্য করতে পারেনা।”

আল্লাহু আকবার হচ্ছে বুঝা ও অনুধাবন করাঃ 

وَٱلَّذِينَ تَدْعُونَ مِن دُونِهِۦ

তাঁর চেয়ে ক্ষুদ্রতর কারণ আপনি বলেছেন তিনিই আকবার। 

مِن دُونِهِۦ مَا يَمْلِكُونَ مِن قِطْمِيرٍ

“তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদেরকে ডাক তারাতো খেজুর বীচির আবরণেরও অধিকারী নয়।” (ফাতিরঃ১৩)। পাতলা একটা আবরণ, যেটা খেজুর বীচির উপর থাকে, তারা সেটারও অধিকারী নয়। 

যখন বিষয়টা আপনার দুশ্চিন্তা, স্মরণ করুন আল্লাহু আকবার – যিনি সর্বশ্রেষ্ঠ তিনিই সমাধান করে দিবেন। 

যখন বিষয়টা আপনার গুনাহ, যিনি সর্বশ্রেষ্ঠ তিনিই ক্ষমা করে দিবেন। 

যখন বিষয়টা আপনার আশা এবং স্বপ্ন, যিনি সর্বশ্রেষ্ঠ তিনিই পূরণ করে দিবেন। 

যখন বিষয়টা আপনার আকাঙ্খা ও বাসনা, যিনি সর্বশ্রেষ্ঠ তিনিই আপনাকে দিবেন। 

যখন পৃথিবী সমান শত্রু আপনার বিরুদ্ধে, যিনি সর্বশ্রেষ্ঠ, সবকিছুর চাইতে শ্রেষ্ঠ, যখন আপনি আল্লাহু আকবার বলবেন তখন তিনিই তাদের পিষ্ট করে দিবেন। 

যখন আপনি ভয় পাবেন, তাঁর কাছেই যান যাকে আপনি আকবার, সর্বশ্রেষ্ঠ বলেন। 

যখন আপনি হতাশাগ্রস্ত, তাঁর কাছেই যান যাকে আপনি আকবার বলেন। 

যখন আপনার একটি শক্তিশালী, ক্ষমতাশীল ভাল অবলম্বন প্রয়োজন, তাঁর কাছেই যান যাকে আপনি আকবার বলেন, তাঁর চেয়ে ক্ষুদ্রতর কারও কাছে নয়। তাঁর পরিবর্তে ও তাঁর চেয়ে ক্ষুদ্রতর কোনোকিছু বা কারও কাছে গিয়ে নিজেকে ছোট করবেন না। 

জ্ঞান ও পূর্ণ বিশ্বাসের সাথে আল্লাহু আকবার বলা, আল্লাহ ছাড়া আপনার মনে যা কিছুকে ক্ষমতাশীল মনে হয়, সবকিছুকে সংকুচিত ও হ্রাস করে বিলীন করে দিবে।

মূল: শাইখ আহমাদ মুসা জীবরিল হাফি.

অনুবাদ: সালাফি সেন্ট্রাল

শেয়ার করুন:

সাম্প্রতিক ব্লগ

ট্যাগ

অশ্লীলতা6 আকিদাহ বিষয়ক প্রশ্নোত্তর2 আখলাক1 আনুগত্য1 আমল31 আমল কবুলের শর্ত1 আসমা ওয়াস সিফাত11 ইবনে তাইমিয়াহ রহি.17 ইবনে তায়্যিমিয়া রহি.1 ইমাম আহমাদ ইবনে হামবাল রহি.3 ইশকে রাসুল স.3 ঈমান17 ঈমাম শাফিঈ রহি.1 উলামাকথন18 উসুলুস সুন্নাহ1 কবর1 কিয়ামত1 কুফর1 ক্বুরআন10 গাইরত2 জান্নাত2 জাহান্নাম2 জুমু'আ5 তাওহীদ14 তাফসীর4 দরসগাহ ম্যাগাজিন ২6 দাম্পত্য1 নারীবাদ1 পুঁজিবাদ1 প্রবন্ধ4 বদর1 বারাকাহ1 বাংলায় মুসলিম শাসনের ইতিহাস0 বিচার ফয়সালা5 বিজ্ঞানবাদ1 বিবিধ প্রশ্নোত্তর1 বিশুদ্ধ তাওবাহ3 বিশ্বকাপ1 মাজমুঊল ফাতওয়া2 মানহাজ1 ম্যাগাজিন1 যাকাত1 রমাদান1 রামাদান হাদিস2 রোযা2 শয়তানের চক্রান্ত1 শাইখ আহমাদ মুসা জীবরিল হাফি.1 শাইখ উসাইমিন রহি.1 শায়েস্তা খান0 শাস্তি1 শিরক1 সমকামীতা1 সাওম3 সাম্প্রদায়িকতা1 সালাত1 সাহাবী1 সিয়াম2 সিরাত1 সূরা আন নাবা1 সূরা আল আনককবুত1 সূরা আল হাজ্জ1 সূরা মাউন1 সূরা হূদ1 হত্যা1 হদ1 হাদিসে কুদসী3 হামজা জর্জিস1 হাশর1

সাবস্ক্রাইব করুন