“বল, হে ঈমানদারগণ! তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় কর। এ দুনিয়ায় যারা ভাল কাজ করবে, তাদের জন্য আছে কল্যাণ।
আল্লাহর যমীন প্রশস্ত (এক এলাকায় ‘ইবাদাত-বন্দেগী করা কঠিন হলে অন্যত্র চলে যাও)। আমি ধৈর্যশীলদেরকে তাদের পুরস্কার অপরিমিতভাবে দিয়ে থাকি।
বল- আমাকে আদেশ দেয়া হয়েছে আল্লাহর ‘ইবাদাত করতে তাঁর আনুগত্যে একনিষ্ঠ হয়ে। আমাকে আদেশ দেয়া হয়েছে আমি যেন সর্বাগ্রে মুসলিম হই।
“বল- আমি যদি আমার প্রতিপালকের অবাধ্য হই, তবে আমি ভয়ঙ্কর দিনের শাস্তির ভয় করি।
বল- আমি ‘ইবাদাত করি আল্লাহর বিশুদ্ধভাবে তাঁর প্রতি আমার আনুগত্যের মাধ্যমে।
অতএব, তাঁকে বাদ দিয়ে তোমরা যার ইচ্ছে ‘ইবাদাত কর (এতে আল্লাহর কোন ক্ষতি হবে না, ক্ষতি তোমাদেরই হবে)। বল- যারা নিজেদেরকে আর নিজেদের পরিবার-পরিজনকে ক্বিয়ামতের দিনে ক্ষতিগ্রস্ত করে, তারাই তো ক্ষতিগ্রস্ত। জেনে রেখ, এটাই হল স্পষ্ট ক্ষতি। তাদের উপরেও থাকবে আগুনের স্তর, আর নীচেও থাকবে (আগুনের) স্তর।
এ রকম পরিণতির ব্যাপারে আল্লাহ তাঁর বান্দাহদেরকে সাবধান করছেন। কাজেই হে আমার বান্দাহরা! আমাকে ভয় কর।
যারা তা/গূ/তের দাসত্ব থেকে দূরে থাকে, আর আল্লাহর অভিমুখী হয়, সুসংবাদ তাদেরই জন্য। কাজেই সুসংবাদ দাও আমার বান্দাদেরকে
যারা মনোযোগ দিয়ে কথা শুনে আর এর উত্তমগুলো মেনে চলে। ওরাই হল তারা আল্লাহ যাদেরকে সৎপথে পরিচালিত করেন আর ওরাই হল জ্ঞান-বুদ্ধিসম্পন্ন।
শাস্তির ফয়সালা যার উপর অবধারিত হয়ে গেছে, যে আছে জাহান্নামের আগুনে তুমি কি তাকে রক্ষা করতে পার? কিন্তু যারা তাদের প্রতিপালককে ভয় করে, তাদের জন্য রয়েছে প্রাসাদের পর প্রাসাদ, যেগুলোর উপর নির্মাণ করা হয়েছে প্রাসাদ আর প্রাসাদ, যার নিচ দিয়ে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত। এটা আল্লাহর ও‘য়াদা, আল্লাহ ওয়াদা ভঙ্গ করেন না।”
সূরা আয যুমার, আয়াত ১০-২০