আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর প্রতি ঈমানের (বিশ্বাসের) মৌলিক নীতিমালাঃ
আল্লাহর প্রতি ঈমানের অন্তর্ভূক্ত হচ্ছে ; তিনি স্বীয় কিতাবে তাঁর যে সমস্ত গুণাবলী বর্ণনা করেছেন এবং তাঁর রাসুল মুহাম্মদ তাঁর যে সব গুণাবলী বর্ণনা করেছেন তা কোন প্রকার বিকৃতি, অস্বীকৃতি ধরণ—গঠন বা সাদৃশ্য সাব্যস্ত না করে ঈমান (বিশ্বাস) স্থাপন করা। বরং আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত, বিশ্বাস রাখেন যে,
মহান আল্লাহর কোন কিছুই সাদৃশ্য নেই আর তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।
(সুরা শুরাঃ ১১)
সুতরাং আল্লাহ যে সমস্ত গুণাবলী দ্বারা নিজেকে ভূষিত করেছেন তা তাঁরা অস্বীকার করেন না । এবং আল্লাহর বাণীকে তাঁর স্থান হতে বিচ্যুতও করেন না। আর আল্লাহর নাম ও আয়াত সমূহের তাঁরা বিকৃতিও ঘটান না। আর তাঁরা আল্লাহর গুণাবলীকে তাঁর সৃষ্টির গুণাবলীর সাথে সাদৃশ্যও করেন না । কারণ আল্লাহ পাকের কেউ সমতুল্য নেই, তাঁর কোন সমকক্ষ নেই, তাঁর কেউ অংশীদার নেই এবং মহান আল্লাহকে তাঁর সৃষ্টির সাথে তুলনা করা যাবে না ।
আল্লাহ পাক তাঁর সম্পর্কে ও তাঁর সৃষ্টি সম্পর্কে অধিক জ্ঞান রাখেন এবং তাঁর সৃষ্টি অপেক্ষা অধিক সত্য ও অতি উত্তম কথা বলেন। অতঃপর তাঁর সত্যবাদী রাসুলগণ যাঁদের সত্যায়ন করা হয়েছে (তাঁরা অন্যদের তুলনায় সর্বাধিক সত্য ও উত্তম কথা বলেছেন ) । আর তারা এর পরিপন্থী, যারা এমন কথা বলে, যার সম্পর্কে তারা জ্ঞানহীন |
তাই মহান আল্লাহ্ পাক এরশাদ করেনঃ
“পবিত্র তোমার পালনকর্তা যা তারা বর্ণনা করে থাকে তা থেকে সম্মানিত ও পবিত্র। রাসুলগণের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক । সমস্ত প্রশংসা বিশ্ব-পালনকর্তা আল্লাহর জন্য।”
(আস সাফ্ফাতঃ ১৮০-১৮২)
সুতরাং রাসুলগণের বিরোধীরা, যেসব গুণে আল্লাহকে ভূষিত করেছে তা থেকে তিনি নিজেকে পবিত্র ঘোষণা করেছেন এবং রাসুলগণের কথা-বার্তা ত্রুটি ও দোষ হতে নিরাপদ হওয়ার কারণে তাঁদের প্রতি সালাম পেশ করেছেন ।
আল্লাহ পাক যে সব নাম ও গুণাবলী দ্বারা নিজেকে ভূষিত করেছেন তাতে ইতিবাচক ও নেতিবাচক গুণকে একত্রিত করেছেন। অতএব রাসুলগণ যে বিধান নিয়ে আগমন করেছেন তা হতে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত অপসৃত হতে পারে না । কারণ ইহাই হচ্ছে সহজ সরল পথ, তাঁদের পথ যাদেরকে আল্লাহ অনুগৃহীত করেছেন, তাঁরা হচ্ছেনঃ নবী-রাসূল, সিদ্দীক (অতি সত্যবাদী), শহীদ ও সৎ কর্ম- শীল ব্যক্তিবর্গ।
মূল: আক্বীদাহ ওয়াসেত্বীয়া
ইমাম ইবনে তায়মিয়া রহি.