যে ব্যক্তি নামায পড়ে না, তার বিধান সম্পর্কে মতভেদ রয়েছে।
প্রথমত যে ব্যক্তি নামায না পড়াকে হালাল মনে করে এবং নামায ফরয হওয়াকে অস্বীকার করে, সে সকল ইমামের মতে কাফের।
কাফের হওয়ার কারণে তাকে হত্যা করা হবে। বিচারক তাকে জিজ্ঞেস করবে, তুমি নামায আদায় কর না কেন?
তখন সে যদি বলে,
আমি নামায ফরজ হওয়া স্বীকার করি না, তাহলে সে কাফের প্রমাণিত হবে। তাকে হত্যা করা হবে।
হত্যা করার পর তাকে গােসল দেয়া হবে না, কাফন পরানাে হবে না। তার নামাযে জানাযাও পড়া হবে না। মুসলমানদের কবরস্তানে তাকে দাফন দেয়া হবে না। তার সন্তানরা তার ধন-সম্পদের উত্তরাধিকারী হবে না । বরং তাকে ইহুদী-খ্রিস্টানদের সাথে দাফন করা হবে। এ ধরনের শাস্তি ঐ ব্যক্তিকে দেয়া হবে, যে নামায ফরয হওয়াকে অস্বীকার করে।
আর যে ব্যক্তি নামায ফরয হওয়াকে অস্বীকার করে না, বিচারক তাকে জিজ্ঞেস করবে,
তুমি নামায আদায় কর না কেন?
তখন সে যদি বলে,
নামায ফরয হওয়া অস্বীকার করি না।
বিচারক তাকে জিজ্ঞেস করার পর যদি সে বলে,
আমি অলসতার কারণে বা নফসের কুমন্ত্রণায় নামায আদায় করি না,
তবে সে নামায না পড়াকে হালাল মনে করে না এবং নামায ফরয হওয়াকে অস্বীকারও করে না, তাহলে তার ব্যাপারে ইমামদের মাঝে মতভেদ রয়েছে।
যে ব্যক্তি নিজের অলসতা, দুর্বলতার কথা স্বীকার করবে, বিচারক তাকে তিন দিন পর্যন্ত জেলে আবদ্ধ করে রাখবে। যদি সে এর মধ্যে নামায আদায় করতে শুরু করে তবে তাকে মুক্ত করে দেবে। নামায আদায় না
করলে মৃত্যু পর্যন্ত সে জেলে থাকবে। হ্যা, তবে বিচারক তাকে শাস্তিমূলক বেত্রাঘাত করতে পারে।
আর ইমাম মালেক ও ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) বলেন, তাকে হদ (শরী’আত নির্ধারিত শাস্তি) হিসেবে হত্যা করা হবে, গােসল দেয়া হবে, কাফন পরানাে হবে। তার জানাযার নামায পড়া হবে এবং মুসলমানদের কবরস্থান্ব তাকে দাফন করা হবে।
আর ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহঃ) বলেন,
সে যদি বলে, আমি অলসতার কারণে বা অন্য কোন কারণে নামায আদায় করি না, তাহলে তাকে কাফের হিসেবে হত্যা করা হবে। তাকে গােসল দেয়া হবে না । কাফন পড়ানাে হবে না। তার জানাযার নামাযও পড়া হবে না। এমনকি তাকে মুসলমানদের কবরস্তানে দাফন পর্যন্ত দেয়া হবে না।
কেউ কেউ বলেছেন- কুকুরের খােরাক হওয়ার জন্য তাকে ফেলে রাখবে। আবার কেউ বলেছেন- তাকে ইহুদী-খ্রিষ্টানদের সাথে দাফন করে দেয়া হবে।
মূল: শাইখ আব্দুল্লাহ ইউসুফ আল ফিলিস্তিনি রহি.