প্রশ্ন: যে এমন বলে যে, “চোরের হাত কেটে দেয়া, এবং সাক্ষ্যের ক্ষেত্রে নারীর সাক্ষ্য পুরুষ অর্ধেক হওয়ার (ইসলামী) বিধান নির্দয় ও জুলুম”, তার ব্যাপারে আপনি কী বলেন?
উত্তর:
الحمد لله
যে এমন বলে তার ব্যাপারে আমি বলি যে সে ইসলাম থেকে বের হয়ে মুরতাদ হয়ে গেছে। আল্লাহ আযযা ওয়া জাল-কে অস্বীকার করে কাফির হয়ে গেছে।
তার জন্য আবশ্যক কর্তব্য হচ্ছে যে সে এই ধর্মত্যাগ হতে তাওবাহ করে আল্লাহর দিকে ফিরে আসবে। নয়তো সে কাফির হয়েই মারা যাবে। কেননা এটা আল্লাহ আযযা ওয়া জাল এর দেয়া বিধান।
আল্লাহ আযযা ওয়া জাল বলেন:
وَمَنْ أَحْسَنُ مِنْ اللَّهِ حُكْمًا لِقَوْمٍ يُوقِنُونَ
“আর দৃঢ় বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য বিধান প্রদানে আল্লাহর চেয়ে আর কে শ্রেষ্ঠতর?”[১]
চোরের হাত কাটার বিধানের ক্ষেত্রে কী হিকমাহ বা তাৎপর্য ক্রিয়াশীল রয়েছে তা বিশ্লেষণ করে আল্লাহ বলেন:
جَزَاءً بِمَا كَسَبَا نَكَالًا مِنْ اللَّهِ وَاللَّهُ عَزِيزٌ حَكِيمٌ
“এ তাদের কৃতকর্মের ফল এবং আল্লাহর তরফ হতে শাস্তি। বস্তুতঃ আল্লাহ পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়”[২]
আর একজন নারীর সাক্ষ্য যে একজন পুরুষের অর্ধেক বা দু জন নারীর সাক্ষ্য যে একজন পুরুষের সমান এর তাৎপর্য বিশ্লেষণ করে আল্লাহ তাআলা বলেন:
أَنْ تَضِلَّ إِحْدَاهُمَا فَتُذَكِّرَ إِحْدَاهُمَا الْأُخْرَى
“যাতে তাদের (নারীদের) একজন ভুল করলে অপরজন স্মরণ করিয়ে দেয়”[৩]
এই বক্তাকে অবশ্যই তার রিদ্দাহ বা ধর্মত্যাগ হতে আল্লাহ আযযা ওয়া জাল এর কাছে তাওবাহ করতে হবে। নয়তো অচিরেই সে কাফির হয়েই মৃত্যুবরণ করবে[৪] ।
উত্তর প্রদানে: শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল উসাইমিন [রাহ.]
অনুবাদ: মানযুরুল কারিম
টীকা:
১) সূরা মায়েদাহ : ৫০
২) সূরা মায়েদাহ : ৩৮
৩) সূরা বাকারাহ : ২৮২
৪) ফাতাওয়াউ উলামাইল বিলাদিল হারামাইন, পৃ: ৪৮৩; মাউকা আল ইসলাম সুওয়াল ওয়া জাওয়াব: ১/৯