“কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে জাহান্নামী বলে সাক্ষ্য দেয়া জায়েয নয়, তবে যাদের ব্যাপারে নস (আয়াত/হাদিস) রয়েছে তাদের কথা ব্যতীক্রম। যেমন আবু লাহাবের ব্যাপারে নস রয়েছে-
سَیَصۡلٰی نَارًا ذَاتَ لَهَبٍ
‘অচিরেই সে দগ্ধ হবে লেলিহান আগুনে'[১]
একইভাবে হত্যা করার পর আবু জাহেল ও তার সঙ্গীদের তিরস্কার করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন
هَلْ وَجَدْتُمْ مَا وَعَدَ رَبُّكُمْ حَقًّا؟ فَإِنِّي وَجَدْتُ مَا وَعَدَنِي رَبِّي حَقًّا»
‘তোমাদের রব তোমাদের সাথে যা অঙ্গীকার করেছিলেন তা কি তোমরা সত্যরূপে পেয়েছ? নিশ্চয় আমার রব আমার সাথে যা অঙ্গীকার করেছিলেন তা আমি সত্যরূপে পেয়েছি'[২]
একই রকমভাবে যেমন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন যে আবু তালিব অগভীর আগুনে থাকবে।
মোটকথা, যার ব্যাপারে নস পাওয়া যাবে যে সে জাহান্নামী কেবল তার ব্যাপারে জাহান্নামের সাক্ষ্য দেয়া হবে।”[৩]
~ শাইখ আব্দুল্লাহ ইবন জিব্রীন [রাহ.]
.
.
[১) সূরা লাহাব: ৩
২) ইমাম হাকিম (রাহ.), আল মুস্তাদরাক, হা: ৪৯৯৫, তাঁর মতে ইমাম মুসলিমের (রাহ.) শর্তে সহিহ, ইমাম যাহাবীও (রাহ.) একমত পোষণ করেছেন,
৩) ফাতাওয়াউশ শাইখ ইবন জিব্রীন: ৬৩/২২৩, الكتاب مرقم آليا]
সংকলনঃ উস্তাদ মানযুরুল কারিম