যুব সমাজ ও সিনেমা

তানভীর হায়দার

সিনেমাশিল্প বর্তমানে একটি সমৃদ্ধশালী সংস্কৃতি,যা বিনোদনের অন্যতম প্রধান মাধ্যম হিসেবে বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।সাধারণত ড্রামা,মুভিতে মানুষ যা দেখে,মানুষ তা নিয়েই কল্পনার জগৎ তৈরি করে।এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মগজে নতুন নতুন মতাদর্শ ও চিন্তা-চেতনার বীজ ঢুকিয়ে দেওয়া সম্ভব।

এই কারণে বিশেষ এই শিল্পটি ইহুদিদের পরিকল্পনায় কখনো উপেক্ষিত হয়নি।তারা জ্যান্টাইল(ইহুদি বাদে বাকি সব ধর্মের লোকদের জ্যান্টাইল বলা হয়) সমাজকে নিজেদের আয়ত্তে আনতে সিনেমাশিল্পকে ধনুক হিসেবে ব্যবহার করছে।ইহুদিরা সবসময় লোকচক্ষুর আড়ালে থেকে এসব কাজ করে আসছে।

দর্শক সংখ্যা বাড়াতে পৃথিবী জুড়ে তারা অসংখ্য শাখা প্রতিষ্ঠানের জন্ম দেয়।এতে করে মানুষের হৃদয়ে তারা সিনেমাশিল্পের প্রতি ক্ষুধা সৃষ্টি করে দেয়।ফলে বিভিন্ন দেশে তাদেরকে অনুসরণ করে তৈরি হয় হাজারো সিনেমা এবং হাজারো সিনেমা হল।

[বিশ শতকের শুরুতে  Dr.James Empringham নিউইয়র্কের World ম্যাগাজিনের একটি কলামে লিখেন-
কিছুদিন আগে সিনেমাশিল্প নিয়ে আমেরিকার বিভিন্ন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান একটি সম্মেলনের আয়োজন করে। আমাকেও আমনন্ত্রণ জানানো হয় অবাক করা ব্যাপার-উপস্থিত ৫০০ জন সদস্যের মধ্যে কেবল আমিই  ছিলাম খ্রিস্টান, আর বাদ বাকি সবাই ইহুদি।”](১)

সিনেমাশিল্পে তখনকার সময়ে যদি ইহুদিদের এরকম আধিপত্য থাকে,তাহলে বর্তমানে তারা এই শিল্পে কতটুকু আধিপত্য বিস্তার করছে ব্যাপক চিন্তার বিষয়।
তবে বর্তমানে ইহুদিদের পাশাপাশি খ্রিস্টান, হিন্দু,নামধারী সেকুলার মুসলিমরা মিলে এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখছে।তাদের মধ্যে থেকে কিছু নিকৃষ্ট লোক এই শিল্পে নতুন করে অশ্লীলতার বিষ ঢুকিয়ে দিচ্ছে। যার কারণে যুব সমাজ ধীরে ধীরে অশ্লীলতায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ছে।

সিনেমাশিল্পে অশ্লীলতা কেন প্রবেশ করেছে?

[১৯০৯ সালে নিউইয়র্ক শহরে National Board of Review of Motion Pictures নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয়।একসময় Frederick Boyd Stevenson সংগঠনটির একজন কর্মী ছিলেন।ব্রকলাইনের Eagle ম্যাগাজিনে তিনি উল্লেখ করেন-

সিনেমা শিল্পের নাটাই ধরে যে যৌনতা সমাজে প্রবেশ করেছে, তার দরুন সন্ত্রাসী তৎপরতা প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে।সাধারণ সিনেমা থেকে আয় হয় ১ লক্ষ ডলার,যেখানে যৌনতা ভরা একটি সিনেমা থেকে আয় হয় ২.৫ লক্ষ থেকে ২৫ লক্ষ ডলার।তাহলে বাজারে কোন সিনেমা বৃদ্ধি পাবে?“](২)

সিনেমা মানেই কোটি টাকার বিজনেস।এই লোভনীয় বিজনেসের ফাঁদে পরে পশ্চিমাদেরকে অন্ধ অনুসরণ করে অশ্লীলতার প্রয়োগ ঘটিয়ে দক্ষিণ এশিয়াতেও সিনেমার রমরমা ব্যবসা চলছে।বর্তমানে আমাদের যুব সমাজে অশ্লীলতা প্রবেশ করছে মূলত  ঢালিউড,মলিউড,হলিউড, কলিউড,টলিউড ইত্যাদি ইন্ডাস্ট্রির মাধ্যমে।আধুনিক সভ্যতার রোষানলে পরে অধিকাংশ মুসলিম যুবক-যুবতীই আজ বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে ‘হারাম সিনেমাকে’বেছে নিয়েছে।

যুব সমাজে সিনেমার কুপ্রভাবঃ

১. যুবক-যুবতীদের মধ্যে ফ্রি-মিক্সিং বৃদ্ধি পায়ঃ

বর্তমান যুগের সিনেমাগুলোতে নারী-পুরুষের অবাধে মেলামেশার দৃশ্য হরহামেশাই দেখানো হয়।সিনেমার এসব দৃশ্য যুবক-যুবতীরা খুব সহজেই গলাধঃকরণ করছে।কারণ এসব দৃশ্য এতটাই জাঁকজমকপূর্ণ হয় যে যুবক-যুবতীরা মনে করে এর চেয়ে সুন্দর জীবন আর কি হতে পারে? ফলে স্কুল,কলেজ ভার্সিটিতে তারা নিজেদের মধ্যকার লজ্জাকে বিসর্জ্জন দিয়ে নন মাহরামদের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেয়।আস্তে আস্তে শয়তানের প্ররোচনায় একে-অপরের জাস্ট ফ্রেন্ড বনে যায়।

[শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যিয়াহ রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন, ‘When men mix with women, it is like mixing fire and wood.’ [al-Istiqaamah, 1/361]
শুধু ইসলামেই নয় অনেক বিশিষ্ট জনও একথার স্বীকার করেছেন যে নারী-পুরুষের মধ্যে ‘জাস্ট ফ্রেন্ড’ সম্ভব নয়। আইরিশ কবি Oscar Wilde বলেছেন, ‘Between men and women there is no friendship possible. There is passion, enmity, worship, love, but no friendship.’](৩)

অধিকাংশ ক্ষেত্রে সিনেমাই যুবক-যুবতীদের মধ্যে ফ্রি-মিক্সিং ঘটাতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে।সিনেমা যুব সমাজকে এতটাই প্রভাবিত করছে যে,সিনেমায় যা দেখানো হয় তারা বাস্তবে তাই করতে চায়।

২.হারাম প্রেম বৃদ্ধি পায়ঃ

বর্তমান যুগের সিনেমা মানেই “প্রেম“। প্রেম ছাড়া সিনেমা হলো লবণ ছাড়া তরকারির মতো।প্রেম না থাকলে সিনেমা জমেই না।এসব সিনেমা প্রেমকে প্রমোট করার পাশাপাশি অশ্লীলতাকেও প্রমোট করে।বর্তমানের যেকোনো সিনেমায় নায়ক-নায়িকাদের অাবেদনময়ী শয়নকক্ষের চিত্র প্রদর্শন যেন দৈনন্দিন রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।এসব দৃশ্য দেখেই যুবক-যুবতীরা যৌন আবেদনময়ী সম্পর্কে আকৃষ্ট হয়ে হারাম প্রেম করা শুরু করে।বিয়ে ছাড়া এর ভূত ছাড়ানো প্রায় অসম্ভব।তবে পরবর্তীতে পরকীয়া প্রেম এসে এ কাজেও বাধা প্রদান করে।’বিয়ের আগে প্রেম’ সব যুগেই হারাম।তবে বর্তমান যুগের প্রেম মানেই যুবক-যুবতীদের মধ্যে শারীরিক মিলামিশা বৈ কিছু নয়!

৩. পরকীয়া প্রেমের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়ঃ

সিনেমাতে খুব সহজেই পরকীয়া প্রেমকে প্রমোট করা হয়।বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পরকিয়া প্রেমকে ইতিবাচক অর্থেই প্রমোট করা হয়।সিনেমার সুন্দরী নায়িকার মতো বউ না পেলে স্বামী কর্তৃক স্ত্রী নির্যাতিত হয়।ফলে স্ত্রী নিজের যৌন আবেদন পূরণ করতে পরকীয়া প্রেমের আশ্রয় নেয়।

অপরাধ বিশ্লেষক ও মনোবিজ্ঞানীদের মতে,বিপরীত লিঙ্গ থেকে যৌন চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হয়ে দাম্পত্য কলহ, পরকীয়া, আর্থিক দৈন্য, বিদেশি বিশেষ করে ভারতীয় চ্যানেলের নাটক-সিনেমার প্রভাবসহ মানসিক হীনম্মন্যতার কারণে পারিবারিক বন্ধন ভেঙে যাচ্ছে। এর ফলে ভাঙছে সংসার।বৃদ্ধি পাচ্ছে পরকীয়া প্রেমের পরিমাণ।

[এক হিসাব মতে,যুবক-যুবতীদের মধ্যেই পরকীয়া প্রেমের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি।এর ফলে দেশে তালাকের পরিমাণ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) হিসাব অনুযায়ী, ২০১১ সাল থেকে এ বছরের অক্টোবর পর্যন্ত ১১ হাজার ৫৬৬টি তালাকের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ৭ হাজার ৩১৬টি তালাক দেওয়া হয় নারীর পক্ষ থেকে। আর পুরুষের পক্ষ থেকে ৪ হাজার ২৫০টি।

এতসব ঘটনার মধ্যে পারিবারিক, সামাজিক ও আইনি মীমাংসায় মাত্র ৩০৬টি তালাক প্রত্যাহার করা হয়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৫টি অঞ্চলে একই সময়ে ১০ হাজার ৬৪৯টি তালাকের নোটিশ জমা পড়ে। সেখানেও তালাক প্রদানে নারীরা এগিয়ে। তালাক দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ নারীর বয়সই ২৫ থেকে ৩৫-এর মধ্যে। আর ২০১০ সাল থেকে গত অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় ৫ বছরে ঢাকাসহ আশপাশের এলাকায় বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে ৫৪ হাজার ৪৯৫টি।](৪)

৪. লিভ ইন রিলেশনশিপ বৃদ্ধি পায়ঃ

লিভ টুগেদার’ শব্দটির সাথে বর্তমানে আমরা সবাই কম বেশি পরিচিত। সাম্প্রতিক সময়ে লিভ টুগেদার নামক ব্যবস্থাটি ভাইরাল আকার ধারন করেছে। এটা এমন একটা কালচার যেখানে দুইজন নারী-পুরুষ হতে পারে বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড বা অন্য কিছু।গভীর বন্ধুত্ব এবং বোঝাপাড়ার ভিত্তিতে একসঙ্গে এক বাড়িতে বসবাস করে কোনোরকম বৈবাহিক সম্পর্ক ছাড়াই। তারা চাইলে সন্তানও নিতে পারে। 

সিনেমাতে হরহামেশাই ‘লিভ টুগেদারের’ দৃশ্য দেখানো হয়।এসব দৃশ্য দেখে যুবক-যুবতীরা এতটাই আকৃষ্ট হয় যে তারা হারামকে হারাম বলতে নারাজ।কারণ বাহ্যিক দৃষ্টিতে এর ভয়াবহতা ওদের মগজে যথাযথ প্রবেশ করেনা।পশ্চিমাদের সমাজে এটাকে বৈধ করা হলেও এ দেশের আইন অনুযায়ী এটা অবৈধ।এসব হারাম কাজকে যুব সমাজে ”সিনেমা’ খুব সহজে প্রমোট করতে পারছে।

৫. ভ্রুণহত্যার সংখ্যা  বৃদ্ধি পায়ঃ

সিনেমা থেকে ইন্সপায়ার্ড হয়ে যুবক-যুবতীরা লিভ ইন রিলেশনশিপ নামক হারাম সম্পর্কে আবদ্ধ হয়।পরবর্তীতে শারীরিক মিলামিশার কারণে যুবতীরা গর্ভবতী হয়ে যায়।কিংবা যুবক-যুবতীদের অবৈধ মিলামিশার(লিভ টুগেদার ছাড়া অন্যান্য অবৈধ রিলেশন) কারণেও যুবতীরা গর্ভবতী হয়।ফলে সম্পর্কের টানাপোড়েনে কিংবা বদনাম হওয়ার ভয়ে যুবতীরা গর্ভপাতের আশ্রয় নেয়।এর মাধ্যমে লাখ লাখ ভ্রূণকে হত্যা করা হচ্ছে।

[বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক হিসাব মতে,২০২০ সালের এখন পর্যন্ত ভ্রূণহত্যার সংখ্যা প্রায় ২ কোটি ৩ লাখ।এর মধ্যে গড়পড়তা দৈনিক ভ্রূণহত্যার সংখ্যা প্রায় ১২ লাখ ৫০ হাজার।](৫)

৬. পর্ণ আসক্তি’র পরিমাণ বৃদ্ধি পায়ঃ

কোনো পর্ণ আসক্তি ব্যক্তি একদিনেই পর্ণের প্রতি আসক্ত হয়না।সিনেমার মাধ্যমে একটা শিশু আস্তে আস্তে যৌন আবেদনময়ী দৃশ্যের প্রতি আকৃষ্ট হয়।অশ্লীলতা আস্তে আস্তে তার মগজে ঢুকে পড়ে।এভাবে ‘সিনেমা’ সেই শিশুটির মগজে ‘কম অশ্লীলতার’ স্লো পয়জন দিতে দিতে একসময় তাকে সম্পূর্ণ অশ্লীলতার দিকে ধাবিত করে।পরবর্তীতে পর্ণ দেখতে দেখতে সেই শিশুটি/যুবক-যুবতী পর্ণের প্রতি আসক্তি হয়ে যায়।

[আমেরিকায় এক জরিপে দেখা গেছে ডিভোর্স হওয়া দম্পতিদের ৫৬% ক্ষেত্রে স্বামী বা স্ত্রীর একজন পর্ণ আসক্ত।](৬)

৭. ধর্ষণের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়ঃ

বর্তমানে বেশির ভাগ সিনেমায় নারীদেরকে অর্ধ-উলঙ্গ করে কেবলমাত্র প্রদর্শনের জন্য ব্যবহার করা হয়।এভাবেই সমাজে অশ্লীলতা ঢুকে পরছে।যুবকেরা এসব অর্ধ-উলঙ্গ সুন্দরী মেয়েদের ফিতনায় পরে যায়।ফলে যৌন আবেদন মিটাতে গিয়ে ধর্ষণের মতো জগন্য ঘটনা ঘটে।সমাজে ধর্ষণ বৃদ্ধিতে সিনেমার অনেকাংশ ভূমিকা রয়েছে।যারা একটু চিন্তাশীল তারা সহজেই বুঝতে পারছেন ব্যাপারটা।

[২০১৫ সালের একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতে প্রতি ২২ মিনিটে একজন নারী ধর্ষিত হয়। এর কারণ কী, এক্ষেত্রে কি বলিউডের রূপালি পর্দার কোনো দায় নেই? ভারতের চলচ্চিত্র শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ নানা চরিত্রের সঙ্গে কথা বলে বিবিসির চলচ্চিত্র সমালোচক টম ব্রুকস একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছিলেন। প্রতিবেদনটির একটি অংশ এরকম :

একের পর এক এমন সব বর্বর ধর্ষণের ঘটনার সামাজিক কারণ খুঁজতে গিয়ে এই প্রশ্নটাও সামনে চলে এসেছে যে, ভারতে নারীর প্রতি এই যৌন সহিংসতা উসকে দেওয়ার পেছনে কি বলিউড আংশিকভাবে দায়ী? বিশেষত চলচ্চিত্রের পর্দায় নারীকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয় এবং যেসব চিত্রকল্প আর আখ্যান তুলে ধরা হয় সেসব কি যৌন সহিংসতা উসকে দিচ্ছে না?“](৭)

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৭ সালে ৮১৮ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০১৭ আসক-এর পর্যবেক্ষণ বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় সংস্থাটি।

[মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরে বলা হয়, এ বছর ধর্ষণের ঘটনার সংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমনি এর ধরনে নিষ্ঠুরতা ও ভয়াবহতা লক্ষ করা গেছে। শিশু কিংবা বৃদ্ধা কেউ রেহাই পায়নি এই পাশবিকতার হাত থেকে। ধর্ষণ-পরবর্তী হত্যার শিকার হয়েছে ৪৭ জন নারী এবং ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছে ১১ জন নারী।](৮)

[মহিলা পরিষদ বলছে, ২০১৬ সালে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে ৭০৫টি। ২০১৭ সালে ১০ মাসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৩৪টিতে। একইভাবে গণধর্ষণ ১৩৯ থেকে ১৯৩ এবং ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ৩১ থেকে বেড়ে হয়েছে ৫২টি।](৯)

আসলে এর সংখ্যা আরো বেশি হবে। বহু ঘটনা আছে, যা লোকচক্ষুর আড়ালে থেকে যায়। আক্রান্ত ব্যক্তিরা নানা কারণে তা প্রকাশ করে না বা করতে পারে না।

৮. Shock Intensity’র পরিমাণ  হ্রাস পায়ঃ

যদি একটি শিশু এমন এক পরিবেশে বড় হয়,যে পরিবেশে কোনো ভায়োলেন্স পূর্ণ সিন, নুড সিন বা নৈতিকতা অবক্ষয়ের কোনো উপাদানই না থাকে তাহলে সেই শিশুটির মধ্যে Shock Intensity’র পরিমাণ বেশি থাকে।এখন হয়তো অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে  Shock Intensity বিষয়টি আসলে কি?

শক খাওয়ার মতো দুনিয়াতে বিদ্যমান অদেখা বিষয়গুলো যখন আমাদের চোখের সামনে প্রথম ঘটে তখন আমাদের মস্তিষ্ক ও মনের মধ্যে শকের যে সর্বোচ্চ লেভেলের তীব্রতা আমরা অনুভব করি তাই হচ্ছে Shock Intensity

উদাহরণ হিসেবেঃ
সিনেমা দেখার মাধ্যমে আমরা ছোটকালে প্রথম যখন কোনো হত্যার সিন দেখি তখন আমরা খুব ভয় পেয়ে যাই।প্রচন্ড শক খাই।কিংবা কেউ যখন জীবনে প্রথমবার কোনো নুড সিন দেখে সেও খুব শকড খায় বা সর্বোচ্চ উত্তেজিত হয়।শকডের তীব্রতায় তার চোখের চাহনি, চেহারা ও মন তখন দুলতে থাকে এক অবিশ্বাস্য জগৎকে ঘিরে।

হত্যার সিনের পাশাপাশি প্রথম যখন কেউ পর্ণ মুভি দেখে তখন তার মধ্যে Shock Intensity’র পরিমাণ বেশি থাকে।কিন্তু বর্তমান সময়ে মানুষের মধ্যে Shock Intensity’র পরিমাণ রীতিমতো কমে যাচ্ছে। এমনকি ছোট বাচ্চাদেরও এখন Shock Intensity’র পরিমাণ কম।কারণ তাদের কাছে এখন ভায়োলেন্স পূর্ন সিন সহজে পৌঁছে যায় ফলে তারা এতে অব্যস্ত হয়ে যাচ্ছে।

ভায়োলেন্স পূর্ণ দৃশ্য দেখার পরও মানুষের মধ্যে Shock Intensity’র পরিমাণ কম হওয়ার কারণ কি?
মিডিয়া কিংবা সিনেমা শিল্পের অবাধ প্রচারণার ফলেই এমনটা হয়েছে।আগে সিনেমায় ভায়োলেন্স পূর্ণ কিংবা ১৮+ সিন থাকলে সেন্সরবোর্ড সেসব সিন কর্তনের জন্য আদেশ দিতো।কিন্তু বর্তমানে এসব সিনের ব্যাপারে আর বাঁধা আসেনা।মুভির পাশাপাশি ওয়েব সিরিজের চাহিদা দিনদিন বাড়ছে।

ওয়েব সিরিজে ভায়োলেন্স পূর্ণ সিন রাখলেও এখন আর সেন্সরবোর্ডের ঝামেলা পোহাতে হয়না।পর্ণ মুভিতে যা হয় এখন ওয়েব সিরিজে বা অশ্লীল সিনেমায় সেসব সিন দেখানো হয়।এসব সিন দেখার কারণে নৈতিক অবক্ষয় ঘটে পাশাপাশি সিনেমা প্রেমীদের মধ্যে Shock Intensity’র পরিমাণ কমে যায়। যার কারণে এখন মুভি বা ওয়েব সিরিজের ভায়োলেন্স পূর্ণ সিন দেখলে কেউ আর শক খায়না।

৯. সেলেব্রিটিজম নামক ফিতনা বৃদ্ধি পায়ঃ

সিনেমায় যারা অভিনয় করে তারা সহজেই সেলেব্রিটি বনে যায়।তাদের মিলিয়ন মিলিয়ন ফ্যান- ফলোয়ার থাকে।তাদের হারাম কাজগুলো যুবক-যুবতীদের কাছে খুব সহজে পৌঁছে যায়।অনেকেই তাদের লাইফস্টাইল কিংবা সিনেমার দৃশ্যকে অনুসরণ করতে গিয়ে হারামকে বেছে নেয়।ফলে সমাজে অজস্র ফিতনা বর্ষিত হয়। যেমনঃ সমকামীতা, লিবারেলিজম, ফেমিনিজম, সেকুলারিজম ইত্যাদি।

অর্থ-সম্পদের অভাবে সেলেব্রিটিদের মতো ভোগবাদের চর্চা করতে না পেরে অনেকেই হতাশায় আচ্ছন্ন হয়ে পরে।জীবনে চলার পথে পিছিয়ে পরে।সহ্য করতে না পেরে অনেকে আত্মহত্যার পথও বেছে নেয়।সেলেব্রিটিদের অন্ধ অনুসরণ করতে গিয়ে অনেক যুবক-যুবতী পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে।কেউ কেউ তো মা-বাবার অবাধ্য সন্তানে পরিণত হয়।

১০. সময়ের অপচয়

আমাদের চারপাশে আজ অনেকের দেখা মিলবে,যাদের নিকট সিনেমাই একমাত্র বিনোদনের মাধ্যম।অনেকে আছে,যাদের দিনে একবার হলেও সিনেমা দেখতে হয়।ইন্টারনেটের এ যুগে মোবাইল ফোন ও কম্পিউটারের সাহায্য সহজেই সিনেমাকে আমদানি করা যায়।সিনেমার সহজলভ্যতার কারণে অনেকে দিনের ৩/৬ ঘন্টা সময় শুধু এসব দেখেই কাটিয়ে দেয়।

মূলত আমাদের মস্তিষ্কে সময় অপচয়কারী নাটক-সিনেমার প্রতি এক অদম্য ক্ষুধার জন্ম নিয়েছে।বাজারে এসবের চাহিদা এতটাই বেড়েছে যে-পৃথিবীর এতগুলো সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি মিলেও এই চাহিদার জোগান দিতে সক্ষম হচ্ছে না।তাই মানুষ একই নাটক-সিনেমা বারবার দেখে সময় কাটাচ্ছে।

সিনেমার গানে ঈমানবিদ্বেষী মশলাঃ

সিনেমার গানের মধ্যে সুরেলা মিউজিক থাকে।আর মিউজিক ইসলামে হারাম। তবুও মুসলিমরা সিনেমা দেখার সময় এসব হারাম জিনিসের সংস্পর্শে আসে।আর বর্তমানের অধিকাংশ গানই আবেদনময়ী।যেখানে অশ্লীলতা আর অশ্লীলতা।এমনকি কিছু কিছু গান আছে যেগুলো সরাসরি ঈমানবিদ্বেষী।উদাহরণ হিসেবে নিচে বলিউডের একটি গানের দুই লাইন লিরিক দেওয়া হলোঃ

“তুজমে রব দিখতা হ্যায়, ইয়ারা ম্যায় ক্যায়া কারু?
সাজদে সার ঝুকতা হ্যায়, ইয়ারা ম্যায় ক্যায় কারু?”

অর্থঃ “তোমার মাঝে রবকে খুজে পাই আমি, প্রিয়া আমি কি করবো?
সেজদার জন্য মাথা ঝুকে যায়, প্রিয়া আমি কি করবো?”

যারা এসব শিরকি গানের চর্চা করে তাদের ঈমান কি থাকবে?এটা কি সিনেমা দেখার কুফল নয়?


সিনেমাসক্তি থেকে মুক্তির উপায়ঃ

১.সঠিক প্যারেন্টিং:

প্যারেন্টিং একটা বৃহৎ বিষয়। সঠিক প্যারেন্টিং সন্তানদের জীবনকে আলোকিত করে।কিন্তু ব্যাড প্যারেন্টিং সন্তানদের জীবনে কুপ্রভাব ফেলে।আপনি হয়তো ভাবছেন যুব সমাজ তো নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেরাই নিতে পারে।ভালো-মন্দের বিচার করতে পারে তাহলে এখানে প্যারেন্টিং এর বিষয় আসতেছে কেনো?

কারণ অধিকাংশ যুবক-যুবতীরা যে আজ সিনেমার প্রতি আসক্তি তা মূলত একদিনে হয়নি।শিশুকাল থেকেই তারা সিনেমাকে বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করে আসছে।একসময় তারা বাংলা সিনেমা দেখতো।আস্তে আস্তে ভারতীয় বাংলা সিনেমা থেকে শুরু করে সাবটাইটেলের সাহায্য পৃথিবীর বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রির সিনেমার সাথে পরিচিত হয়।

এতে করে ধীরে ধীরে সিনেমার প্রতি তাদের আসক্তি বৃদ্ধি পায়।পিতা-মাতারা যদি তাদের সন্তানদেরকে শিশুকাল থেকে সিনেমা,মিউজিক, গান ইত্যাদির ভয়াবহতার ব্যাপারে সূক্ষ্ণ ধারণা দিতো তাহলে যুবক বয়সে এসে অধিকাংশেরই সিনেমার প্রতি আসক্তি জন্মাতো না।তারা যদি তাদের সন্তানদের প্রতিটি পদক্ষেপ লক্ষ্য করতো তাহলে অনেকেই সিনেমাকে বিনোদন হিসেবে গ্রহণ করতো না।পিতা-মাতারা যদি সন্তানদেরকে ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলোর পাশাপাশি হারাম-হালালের ব্যাপারে সূক্ষ্ণ ধারণা দিতে পারতো তাহলে সিনেমাসক্তির মতো বিপর্যয় থেকে সন্তানেরা রক্ষা পেত।

বর্তমানে জন্ম নেওয়া শিশুদের কর্মকাণ্ডের উপরে পিতা-মাতাদের চোখ সর্বদা খোলা রাখতে হবে।
পরিবারের সদস্যদের পর্ণ জগত কিংবা সিনেমার ওয়েবসাইট থেকে ধরা ছোঁয়ার বাহিরে রাখতে হলে Parental Controls ব্যবহার করতে হবে। প্রথমে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ এর Settings  এ গিয়ে  Control Panel এ থাকা  > Family Safety > তে ক্লিক করে  Manage settings on the family safety websites সিলেক্ট করুন। তারপর প্রয়োজন মতো বাকি কাজ নিজের মতো করে করুন।তবে সিনেমা বা হারাম কাজ করা যায় এরকম ডিভাইস শিশু বয়সে না দেওয়াই ভালো।

সন্তানদেরকে মোবাইল ফোন,টেলিভিশন কিংবা কম্পিউটার থেকে দূরে রাখতে হবে।সন্তানদেরকে খারাপ বন্ধুদের ব্যাপারে সচেতন করতে হবে।সিনেমা হলের ব্যাপারে সন্তানদেরকে সবসময় কু-ধারণা দিতে হবে।সাধারণ সিনেমা ও অশ্লীল সিনেমার প্রতি তাদের মনে বিদ্বেষ জাগ্রত করতে হবে।কারণ এই পৃথিবীতে হালাল ছবি আছে কিনা সন্দেহ আছে।কারণ সব সিনেমায়  নারী-পুরুষের ফ্রি-মিক্সিং দেখা যায়।

২.হালাল বিনোদনঃ

মোবাইল কিংবা কম্পিউটারে থাকা সিনেমাগুলোকে সবার আগে ডিলিট করতে হবে।নেটফ্লিক্স বা এ জাতীয় ওয়েবসাইটের সাবস্ক্রিপ্শন কেনা থাকলে এগুলোকে বাদ দিতে হবে।ইসলামিক হালাল বিনোদনের চর্চা শুরু করতে হবে।নিম্নোক্ত হালাল বিনোদনগুলোর চর্চা করা উচিত তবে মনে রাখতে হবে অতিরিক্ত বিনোদন ভালো নয়।কারণ অতিরিক্ত বিনোদন আল্লাহর স্বরণ থেকে আমাদেরকে ভুলিয়ে রাখতে পারে।

১• হাটার প্রতিযোগিতাঃ

– রাসূল(সা.) এবং আয়েশার(রা.) মধ্যে প্রতিযোগিতা হয়েছিলো।

২• সাঁতার কাটাঃ

-সাতার কাটার দ্বারা শরীর পুষ্ট হয়।

৩• বই পড়াঃ

-তবে ভালো বই পড়তে হবে যাতে ঈমান ভঙ্গের কারণ না থাকে।

৪• কুরআন তিলাওয়াত শুনা এবং নিজে নিজে কুরআন পড়াঃ

-নিয়মিত অডিও,ভিডিও কুরআন শুনার পাশাপাশি নিজে কুরআন পড়লে সিনেমাসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে ইন শা আল্লাহ।

৫• শিক্ষা অর্জনের জন্য ভ্রমণ করাঃ

-তবে মনে রাখতে হবে যুবক-যুবতীদের মধ্যে যেন ফ্রি-মিক্সিং না ঘটে।

৩. সচেতনতামূলক কার্যক্রমঃ

যুবক-যুবতীরা বুঝতেই পারেনা-সিনেমা আসক্তি কিভাবে তাদেরকে পর্ণ আসক্তিতে কনভার্ট করে ফেলে।যুবক-যুবতীদেরকে সিনেমা থেকে মুক্ত রাখার জন্য সচেতনতামূলক ফেইসবুক গ্রুপ খোলা উচিত।যারা ইতিমধ্যে সিনেমাসক্তি হয়ে গেছে তাদেরকে যথাযথ দিকনির্দেশনা দিতে হবে।সিনেমা দেখার ভয়াবহতা সম্পর্কে তাদেরকে স্বরণ করিয়ে দিতে হবে।

৪. হালাল কাজে উৎসাহ প্রদানঃ

বেশিরভাগ যুবক-যুবতী বাংলা সাবটাইটেলের সাহায্য নিয়ে বিদেশি সিনেমার সাথে পরিচিত হয়।যারা বাংলা সাবটাইটেল তৈরি করে তারা মূলত বিনা টাকায় সময় অপচয়ের মাধ্যমে এ কাজ করে।সময় অপচয়ের পাশাপাশি হারাম কাজের জন্য তারা অনেক মানুষের গুনাহের ভার নিজের কাঁধে বহন করে।

আমাদের পরিচিত সাবটাইটেল মেকারদেরকে এ ব্যাপারে সচেতন করতে হবে।এর ভয়াবহতা সম্পর্কে তাদেরকে সতর্ক করতে হবে।হালাল বা ইসলামিক একাডেমিক ভিডিওতে সাবটাইটেল তৈরি করার জন্য তাদেরকে উদ্ভুদ্ধ করতে হবে।ফলে বিদেশি সিনেমার কুপ্রভাব যুব সমাজে কিছুটা হলেও কমবে।

৫. মোবাইল সার্ভিসিং করা দোকানদারকে সচেতন করতে হবেঃ

মোবাইল সার্ভিসিং কিংবা সিডি,ক্যাসেটের দোকান থেকে প্রচুরসংখ্যক মুভি,পর্ণোমুভি ইত্যাদিকে ‘mp4’ ফাইল আকারে যুবকেরা টাকার বিনিময়ে কিনছে।এসব দোকানের মাধ্যমে অফলাইনে মুভি,পর্ণমুভি,টিভি সিরিজ ইত্যাদি তরুণ সমাজে দ্রুত পৌঁছে যাচ্ছে।কেউ যদি গুগুলে “দোকানে পর্ণ ছবি বিক্রি হচ্ছে ” কথাটি লিখে সার্চ দেয় তাহলে এ সম্পর্কিত অনেক নিউজ দেখতে পারবে।প্রায় ভয়াবহ অবস্থা!

উপরোক্ত এসব কিছু থেকে যুব সমাজকে বাঁচাতে হলে মোবাইল সার্ভিসিং করা দোকানদারকে দাওয়াতের মাধ্যমে হারাম সম্পর্কে বুঝিয়ে বলতে হবে।তাদেরকে বুঝাতে হবে একজনের হারাম ব্যবসার কারণে কত-শত মানুষ জাহান্নামের অধিকারী হয়ে যাচ্ছে।যদি সঠিক পন্থায়ে আমাদের নিকটস্থ এসব দোকানদারকে আমরা সচেতন করতে পারি তাহলে ইন শা আল্লাহ কিছুটা হলেও হারাম কাজের পরিমাণ কমে যাবে।

সিনেমাসক্তি থেকে মুক্তির কার্যকরী উপায়ঃ

সিনেমা দেখতে খুব মজাই লাগে। হারাম কাজ এমনতেও মজা। কিন্তু এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এতই বেশি যে এটি একজন মানুষকে পর্ণ আসক্তি বানিয়ে দিয়ে তার দাম্পত্য জীবনে গোলমাল লাগিয়ে দিতে পারে।এর থেকে পরিত্রাণের মাধ্যম হলো ‘হালাল কাজকর্ম’।’হালাল কাজকর্মই’ সিনেমাসক্তি থেকে মুক্তির প্রধান মাধ্যম।তবে সবার আগে নিজের মনকে এ ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ  করতে হবে।

প্রতিদিন কুরআন তিলাওয়াত,ইস্তেগফারের দুয়া ইত্যাদি পাঠ করতে হবে।পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করতে হবে।সিনেমা সম্পর্কিত সকল ফেইসবুক গ্রুপ থেকে দূরে থাকতে হবে।পরিবারকে যথাযথ সময় দিতে হবে।যখন সিনেমা দেখার ইচ্ছা জাগবে তখন কুরআন তিলাওয়াত শুনা উচিত।এছাড়া মানসিক চাপ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কুরানিক চিকিৎসা তথা রুকাইয়ার চিকিৎসাও নেওয়া যেতে পারে।এছাড়া কোনো ভালো সাইকিয়াট্রিস্ট এর কাছ থেকেও সুপরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।

এছাড়া অতিরিক্ত সিনেমাসক্তি থেকে মুক্তি লাভের জন্য  “তাবলীগ জামাত” এর সাথে কয়েকদিন থাকা যেতে পারে।সিনেমাসক্তি কিংবা পর্ণ আসক্তি থেকে মুক্তির জন্য “তাবলীগ জামাত” একটি বেস্ট অপশন হতে পারে।আলহামদুলিল্লাহ!

তথ্যসূত্রঃ
[১] সিক্রেটস অব জায়োনিজম (বই)

[২] সিক্রেটস অব জায়োনিজম (বই)

[৩] https://i-onlinemedia.net/4953

[৪] http://oporajitabd.com/পরকীয়া-দিন-দিন-যার-বৃদ্ধি/

[৫] বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

[৬] https://www.google.com/amp/s/adnanfaisal.wordpress.com/2015/10/23/how-to-overcome-porn-addiction/amp/

[৭] প্রথম আলো, ১৪ জুলাই ২০১৫

[৮] দৈনিক ইনকিলাব(অনলাইন), ১ জানুয়ারি ২০১৮

[৯] প্রথম আলো (অনলাইন), ২৬ নভেম্বর ২০১৭

শেয়ার করুন:

সাম্প্রতিক ব্লগ

ট্যাগ

অশ্লীলতা6 আকিদাহ বিষয়ক প্রশ্নোত্তর2 আখলাক1 আনুগত্য1 আমল31 আমল কবুলের শর্ত1 আসমা ওয়াস সিফাত11 ইবনে তাইমিয়াহ রহি.17 ইবনে তায়্যিমিয়া রহি.1 ইমাম আহমাদ ইবনে হামবাল রহি.3 ইশকে রাসুল স.3 ঈমান17 ঈমাম শাফিঈ রহি.1 উলামাকথন18 উসুলুস সুন্নাহ1 কবর1 কিয়ামত1 কুফর1 ক্বুরআন10 গাইরত2 জান্নাত2 জাহান্নাম2 জুমু'আ5 তাওহীদ14 তাফসীর4 দরসগাহ ম্যাগাজিন ২6 দাম্পত্য1 নারীবাদ1 পুঁজিবাদ1 প্রবন্ধ4 বদর1 বারাকাহ1 বাংলায় মুসলিম শাসনের ইতিহাস0 বিচার ফয়সালা5 বিজ্ঞানবাদ1 বিবিধ প্রশ্নোত্তর1 বিশুদ্ধ তাওবাহ3 বিশ্বকাপ1 মাজমুঊল ফাতওয়া2 মানহাজ1 ম্যাগাজিন1 যাকাত1 রমাদান1 রামাদান হাদিস2 রোযা2 শয়তানের চক্রান্ত1 শাইখ আহমাদ মুসা জীবরিল হাফি.1 শাইখ উসাইমিন রহি.1 শায়েস্তা খান0 শাস্তি1 শিরক1 সমকামীতা1 সাওম3 সাম্প্রদায়িকতা1 সালাত1 সাহাবী1 সিয়াম2 সিরাত1 সূরা আন নাবা1 সূরা আল আনককবুত1 সূরা আল হাজ্জ1 সূরা মাউন1 সূরা হূদ1 হত্যা1 হদ1 হাদিসে কুদসী3 হামজা জর্জিস1 হাশর1

সাবস্ক্রাইব করুন