হযরত উবাই ইবনে কা’ব (রাঃ) বলেনঃ
“কিয়ামত নিকটবর্তী হওয়ার সময়
এই উম্মতের শেষের লােকেরা কি কাজ করবে তা আমাদেরকে বলে দেয়া হয়েছে।
একটি এই যে, মানুষ তার স্ত্রী বা দাসীর গুহ্যদ্বারে সঙ্গম করবে। অথচ এটা আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল হারাম করেছেন। আর এ কাজে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল (সঃ) অসন্তুষ্ট হন।
অনুরূপভাবে পুরুষের সাথে পুরুষ কুকাজে লিপ্ত হবে। যা হারাম এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সঃ)-এর অসন্তুষ্টির কারণ। এ লােকদের নামাজও আল্লাহর নিকট কবূল হয় না। যে পর্যন্ত না তারা তাওবা করে বিশুদ্ধ
তাওবা।”
তখন হযরত উবাই ইবনে কা’ব (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হলােঃ
“বিশুদ্ধ তাওবা কি?” উত্তরে তিনি বললেনঃ
“আমি রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে এই প্রশ্নই
করেছিলাম।
তিনি জবাবে বলেছিলেনঃ
“ভুলক্রমে গুনাহ হয়ে গেছে, অতঃপর ওর উপর লজ্জিত হওয়া, আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা, তারপর ঐ গুনাহর দিকে আর ঝুঁকে না পড়া।”
হযরত হাসান (রঃ) বলেনঃ বিশুদ্ধ তাওবা হলাে এই যে, যেমন গুনাহর প্রতি ভালবাসা ও আকর্ষণ ছিল ঐ রকমই ওর প্রতি অন্তরে ঘৃণা জন্মে যাওয়া। যখন ঐ গুনাহর কথা স্মরণ হয় তখন ক্ষমা প্রার্থনা করা। যখন কোন বান্দা তাওবা করার জন্যে দৃঢ় সংকল্প করে নেয় এবং তাওবার উপর অটল থাকে তখন আল্লাহ তা’আলা তার পূর্বের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেন।