বদরের যুদ্ধে হযরত উবাইদা ইবনুল জাররাহ রাদিআল্লাহু আনহুর পিতা মক্কার মুশরিকদের সাথে ছিল। আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহ রাদিআল্লাহু আনহু রণাঙ্গনে অত্যন্ত বীরত্ব ও সাহসিকতার সাথে লড়াই করছিলেন। তার পিতা বারবার সামনে আসতেন। কিন্তু হযরত আবু উবাইদা রাদিআল্লাহু আনহু পাশ কাটিয়ে যেতেন। যখন পিতা পুত্রকে আক্রমণের জন্য বাধ্য করলেন তখন হযরত আবু উবাইদা রাদিআল্লাহু আনহু নিজ পিতার গর্দান উড়াতে সামান্যও কুণ্ঠিত হননি। বাবা যখন সামনে আসছে তখন তার মাথার ওপর এমন ভয়াবহ আক্রমণ করলেন যে, গর্দান দুটুকরো হয়ে গেছে। ওই যুদ্ধেই হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব রাদিআল্লাহু আনহু তার মামা আস ইবনে হিশামকে হত্যা করেছেন। হযরত আলী রাদিআল্লাহু আনহু ওলীদ ইবনে উতবাকে, হযরত হামজা রাদিআল্লাহু আনহু শায়বাকে, হযরত উবাইদা ইবনুল হারিস উতবা ইবনে রাবীকে হত্যা করেছিলেন, যারা তাদের নিকটাত্মীয় ছিলেন।
আল্লাহ তাআলার বদরের যুদ্ধে সাহাবায়ে কেরাম রাদিআল্লাহুমদের ‘আল ওয়ালা ওয়াল বারা’-এর এ কর্মপদ্ধতি এতটাই পছন্দ হয়েছে যে, তাদের সম্পর্কে সূরা মুজাদালাহর এই আয়াত অবতীর্ণ করেছেন—
“তুমি পাবে না আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাসী এমন কোনো সম্প্রদায়, যারা ভালোবাসে আল্লাহ ও তার রাসূলের বিরুদ্ধাচারীদের, হোক না এ বিরুদ্ধাচারীরা তাদের পিতা, পুত্র, ভ্রাতা অথবা তাদের জ্ঞাতিগোত্র। তাদের অন্তরে আল্লাহ সুদৃঢ় করেছেন ঈমান এবং তাদেরকে শক্তিশালী করেছেন তার পক্ষ হতে রূহ দ্বারা। তিনি তাদের দাখিল করাবেন জান্নাতে, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, সেখানে তারা স্থায়ী হবে। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং তারাও তার প্রতি সন্তুষ্ট, তারাই আল্লাহর দল। জেনে রাখো, আল্লাহর দলই সফলকাম হবে।”
সূরা মুজাদালাহ, আয়াত ২২