“হে মানুষ! তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় কর, কিয়ামাতের কম্পন এক ভয়ানক জিনিস।
সেদিন তুমি দেখবে
প্রতিটি দুগ্ধদায়িনী ভুলে যাবে তার দুগ্ধপোষ্য শিশুকে,
আর প্রত্যেক গর্ভবতী গর্ভপাত করে ফেলবে,
আর মানুষকে দেখবে মাতাল, যদিও তারা প্রকৃতপক্ষে মাতাল নয়,
কিন্তু আল্লাহর শাস্তি বড়ই কঠিন (যার কারণে তাদের ঐ অবস্থা ঘটবে)।
কতক মানুষ জ্ঞান ছাড়াই আল্লাহ সম্বন্ধে বাদানুবাদ করে, আর প্রত্যেক অবাধ্য শয়ত্বানের অনুসরণ করে। যার (অর্থাৎ শয়ত্বানের) সম্পর্কে বিধান করা হয়েছে যে, যে কেউ তার সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়বে, সে তাকে বিপথগামী করবে, আর তাকে প্রজ্জ্বলিত অগ্নি শাস্তির দিকে পরিচালিত করবে।
হে মানুষ! পুনরুত্থানের ব্যাপারে যদি তোমরা সন্দিহান হও, তাহলে (চিন্তা করে দেখ) আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি মাটি থেকে, অতঃপর শুক্র হতে, অতঃপর জমাট রক্ত থেকে, অতঃপর মাংসপিন্ড হতে পূর্ণ আকৃতিবিশিষ্ট বা অপূর্ণ আকৃতিবিশিষ্ট অবস্থায় (আমার শক্তি-ক্ষমতা) তোমাদের সামনে স্পষ্ট করে তুলে ধরার জন্য।
আর আমি যাকে ইচ্ছে করি তাকে একটা নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত মাতৃগর্ভে রাখি, অতঃপর তোমাদেরকে বের করে আনি শিশুরূপে, অতঃপর (লালন পালন) করি যাতে তোমরা তোমাদের পূর্ণ শক্তির বয়সে পৌঁছতে পার। তোমাদের কারো কারো মৃত্যু ঘটাই, আর কতককে ফিরিয়ে দেয়া হয় নিস্ক্রিয় বার্ধক্যে যাতে (অনেক) জ্ঞান লাভের পরেও তাদের আর কোন জ্ঞান থাকে না।
অতঃপর (আরো) তোমরা ভূমিকে দেখ শুষ্ক, মৃত; অতঃপর আমি যখন তাতে পানি বর্ষণ করি তখন তাতে প্রাণ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়, তা আন্দোলিত ও স্ফীত হয়, আর তা উদগত করে সকল প্রকার নয়নজুড়ানো উদ্ভিদ (জোড়ায় জোড়ায়)।
এ রকম হয় এজন্য যে, আল্লাহ হলেন সত্য সঠিক, আর তিনিই মৃতকে জীবিত করেন, আর তিনি সকল বিষয়ে ক্ষমতাবান।
আর কিয়ামাত অবশ্যই আসবে, এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই এবং যারা কবরে আছে আল্লাহ তাদেরকে অবশ্যই পুনরুত্থিত করবেন।
তবুও মানুষের মধ্যে এমন আছে যারা জ্ঞান, পথের দিশা ও কোন আলোকপ্রদানকারী কিতাব ছাড়াই আল্লাহ সম্পর্কে বিতর্ক করে। (বিতর্ক করে অবজ্ঞাভরে) ঘাড় বাঁকিয়ে (লোকেদেরকে) আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করার উদ্দেশে। তার জন্য আছে লাঞ্ছনা এ দুনিয়াতে, আর কিয়ামাতের দিন তাকে আস্বাদন করাব (অগ্নির) দহন যন্ত্রণা।(বলা হবে) তোমার হাত দু’খানা আগেই যা পাঠিয়েছিল এটা তারই ফল, কারণ আল্লাহ তো তাঁর বান্দাহদের প্রতি যালিম নন।
সূরা আল হাজ্জ, আয়াত ১-১০